পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতের তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই আজাদ কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। আগামী ১৫ নভেম্বর গিলগিট-বালতিস্তান প্রাদেশিক আইনসভার ভোটের দিন ঘোষণা করেছে পাক নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের গোড়ায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেখানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোট করানোর জন্য পাকিস্তান সরকারকে ২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার পাকিস্তানকে ‘ক‚টনৈতিক প্রতিবাদপত্র’ (ডিমার্শ) পাঠায়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সেখানে ভোটের সিদ্ধান্তে অটল থাকে ইসলামাবাদ। গত ১৮ অগস্ট প্রাদেশিক আইনসভার ২৪টি আসনে ভোটের দিন স্থির হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছনো হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ইমরান খান সরকারের এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের এই পদক্ষেপের কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ, গিলগিট-বালতিস্তান অবৈধ ভাবে, জোর করে দখল করা ভূখন্ড।’ গত আগস্ট মাসে ভারতের সংসদের অনুমোদন পেয়ে কার্যকর হওয়া জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী গিলগিট-বালতিস্তান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘গিলগিট-বালতিস্তানে ভোট ঘোষণা করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।’
ব্রিটিশ শাসনের সময় ‘রাজন্যশাসিত রাজ্য’ জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালতিস্তান। পাকিস্তান ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশের পাশাপাশি ওই অঞ্চলটিও ভারতের দখল থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। গিলগিট-বালতিস্তানকে আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে ‘ফেডারালি অ্যাডমিনিস্টারড নর্দার্ন এরিয়া’ নাম দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। নতুন নামকরণের পরে ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে প্রথম স্থানীয় আইনসভার ভোট হয় গিলগিট-বালতিস্তানে। সে সময়ও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ইসলামাবাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করা হয়েছিল। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।