বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অব্যাহত ভারী বর্ষনে রংপুরের নি¤œাঞ্চলগুলোতে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তিন দিনের টানা বর্ষনে বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ায় সব্জি ক্ষেত, মাছের খামার ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট চাষীরা। অব্যাহত ভারী বর্ষনে রংপুর মহানগরীর অলি গলিসহ বিভিন্ন সড়কে ও পাড়া-মহল্লায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নাগরিক জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
৩ দিনের টানা বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, ধরলা, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে রংপুরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এতে করে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বুধবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নয় ঘণ্টায় রংপুরে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে শুধু ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানিতে নগরীর শ্যামা সুন্দরী ও কেডি ক্যানেলে পানি বাড়ার সাথে সাথে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় মহানগরীর বেশ কিছু এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণে রংপুর মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারনে চরম দুর্ভোগে পড়েন মহানগরীর বাসিন্দাগন। বিশেষ করে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর স্টেশন রোড, পীরপুর রোড, আলমনগর খামারপাড়া, বাবুখাঁ, মুলাটোল, পশ্চিম বাবু খাঁ, গনেশপুর, গুড়াতিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, কেরানীপাড়া, থানা রোড, লালবাগ কেডিসি রোড, লালবাগ হাট সংলগ্ন গলি ও ধাপ এলাকার অধিকাংশতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাসা-বাড়ির ভিতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জলাবদ্ধতার কারনে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পঁচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে মানুষ ঐসব রাস্তা দিয়ে একেবারেই চলাচল করতে পারছে না।
এছাড়াও বৃষ্টিতে নদী বেষ্টিত গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা ও পীরগঞ্জের অনেক নিচু এলাকায় মাছের ঘের, খাল-বিল, পুকুর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারনে অনেক মাছের খামার ভেসে গেছে। এতে করে মাছ চাষীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দফায় দফায় বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও জলাবদ্ধতায় মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন সব্জি চাষীগন। পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন খামারীরা। বৃষ্টির কারনে গো-খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে অনেকটা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।