Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফ্রিকান ভেষজকে চিকিৎসায় ট্রায়ালের অনুমতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫৮ এএম

করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিসাবে সাড়া ফেলেছিল আফ্রিকার একটি ভেষজ ওষুধ। এবার চিকিৎসার জন্য সেই প্রতিষেধক পরীক্ষায় অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আফ্রিকার এই ভেষজ ওষুধ দিয়ে করোনার চিকিৎসার সম্ভাবনা প্রথম জনসমক্ষে তুলে ধরেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট।

শনিবার ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ ও আরও দুই সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য ভেষজ ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তিন পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রোটোকলে ছাড়পত্র দেয়া হল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য ও নিরাপত্তার তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড গঠনের জন্য সনদ ও প্রয়োজনীয় নিয়মবিধিও তৈরি করা হয়েছে।’ ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক ডিরেক্টর প্রোসপার তুমুসিমে বলেন, ‘যদি এই চিরাচরিত ভেষজ ওষুধের সুফল প্রমাণিত হয়, তা হলে স্থানীয় স্তর থেকেই এটিকে দ্রæত ও বিপুল পরিমাণে তৈরি করার নির্দেশ দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’

আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পরীক্ষাগারে নানা মলিকিউলের উপর যে পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে গবেষণা চলছে, আফ্রিকার ভেষজ ওষুধের পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সেই মানদন্ড অনুসরণ করা হবে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। শুধু করোনা নয়, একাধিক সাম্প্রতিক রোগ মোকাবিলায় এই ভেষজের চিকিৎসামূলক ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে এটি পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন মহল।

ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে আর্তেমিসিয়া গাছ থেকে তৈরি এই পানীয়ের পরিচিতি ছিল আগে থেকেই। তবে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্টই প্রথম দাবি করেন, এটি করোনার বিরুদ্ধেও কাজ করতে সক্ষম। তখন অবশ্য নানা মহল থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে সেখান থেকেই আফ্রিকার ভেষজ উপাদানকে সাম্প্রতিক মহামারীর ওষুধ হিসেবে কী ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতেই এবার এটি করোনা চিকিৎসায় পরীক্ষার অনুমতি দিল ডবিøউএইচও। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ