যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
মা হওয়া কী মুখের কথা? এক্কেবারেই না। অন্তত এমনটাই মনে হবে সন্তান হওয়ার পর-পর যখন আবিষ্কার করবেন আপনার বর্ধিত ওজন বাগে আনা অনেকটা অসাধ্য কাজ। গত কয়েক মাস ধরে মনে মনে ভেবেছিলেন বাচ্চা হয়ে গেলেই আবার ফিরে পাবেন পুরনো রুটিন, ফিরে যাবেন জীবনের পুরনো ছন্দে। কিন্তু এখন তার সবটাই যেন ঝাপসা ঠেকবে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে।
ও প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা যে অবয়বটা দেখবেন সেটা আর যারই হোক, আপনার নয়। কক্ষনো নয়। এই শরীর আপনার কাঙ্খিত নয়।
পুরনো জামাকাপড় একটাও গায়ে গলবে না। আর নিজের জুবুথুবু চেহারায় নতুন পোশাক কেনার উৎসাহও আপনি পাবেন না। কাজে যাওয়া তো দূরের কথা এই সময়ে বাড়িতে বাচ্চাকে দেখতে আসা অতিথিদের সামনে আসাটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং ঠেকবে।
ওদিকে আবার যিনি নতুন এসেছেন সারাক্ষণ তাঁকে ঘিরে নানাবিধ চিন্তা।তাছাড়াও যে মায়েরা ব্রেস্টফিড করান তাদের এই সময় সুষম আহার অর্থাৎ ব্যালান্সড ডায়েটের বিশেষ প্রয়োজন।
যদি প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে একটু সচেতন থাকেন। প্রথম থেকেই মানে, একেবারে মা হওয়ার গোড়া থেকে। জেনে নিন কিছু সহজ টিপস।
ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না
পুরনো চেহারা, পুরনো জীবনে ফিরে যাওয়ার তাড়াহুড়োয় অনেকেই হঠাৎ লো ক্যালোরি ডায়েট শুরু করে দেন। ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন যা একেবারেই কাম্য নয়। যদিও এইসময় নিজের ওজন বুঝে ৫০০ ক্যালোরি মতো কমানো যেতেই পারে একদিনে।
তাতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক পাউন্ড বা প্রায় হাফ কিলো ওজন কমবে। এই অনুপাতে ওজন কমানোটা অনেক নিরাপদও। কারণ একটা সুস্থ ওজনে ফিরে আসাটা শুধু সুন্দর চেহারায় ফেরার জন্যই নয়।
একইসঙ্গে নিজের সন্তানের দেখভালের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতেও খুব জরুরি। প্রসঙ্গত জেনে রাখুন, ব্রেস্টফিডিং যেমন প্রথম তিনমাসে ওজন বাড়ায়, তেমনিই পরের তিনমাস কিন্তু ওজন কমাতে দারুণ সাহায্য করে।
প্রেগন্যান্সি থেকেই সচেতন হন
প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলাটা পোস্ট প্রেগন্যান্সি অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার অন্যতম কারণ। আপনার চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন আপনার ক্ষেত্রে ঠিক কতটা ওজন বাড়া উচিত।
আর মেনুতে বাইরের খাওয়ার না রেখে বেশি করে সুষম, পুষ্টিদায়ক খাবার রাখুন। ‘প্রেগন্যান্সি ক্রেভিং’ এর অজুহাতে একগাদা ভুলভাল খাবার খেয়ে একমাসে পাঁচ কিলো ওজন বাড়িয়ে বসবেন না।
তার মাশুল কিন্তু গুনতে হবে আপনাকেই। সুতরাং, নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে যুদ্ধটা শুরু করুন শুরুতেই। আর ভুলে যাবেন না, প্রেগন্যান্সির সময় অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি শেষ দিকে জটিলতা বাড়াতে পারে প্রসবেও। দেখা দিতে পারে হৃদরোগ ও ডায়াবিটিসের প্রবণতাও। চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।