মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধকের দৌড়ে সামনের সারিতে রয়েছে রাশিয়া। এবার করোনার ওষুধও আসতে চলেছে রাশিয়ার বাজারে। হাসপাতালের বাইরে সামান্য বা মাঝারিমাত্রার সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য আর ফার্ম-এর করোনাভির ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে রাশিয়া। আগামী সপ্তাহেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় আর-ফার্ম-এর অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ করোনাভির পাওয়া যেতে পারে ওষুধের দোকানগুলিতে। শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক ওই কোম্পানির তরফে।
এর আগে করোনা চিকিৎসায় রাশিয়ায় আরও একটি ওষুধ অ্যাভিফাভিরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। অ্যাভিফাভির এবং করোনাভির দুটিরই মূল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাভির। জাপানে ইতোমধ্যেই অ্যাভিফাভির তৈরি হচ্ছে এবং সেখানে করোনা চিকিৎসায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার সম্ভাব্য টিকা তৈরির দৌড়ে যেমন এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া, তেমনই করোনার ওষুধ বাজারে এনেও বিশ্ব বাজার ধরতে জোর প্রয়াস চালাচ্ছে পুতিনের দেশ। আর ফার্মার ঘোষণা সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে। স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশেও পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এ ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তিও সেরে ফেলেছে রাশিয়া।
আর ফার্ম জানিয়েছে, ১৬৮ জন করোনা আক্রান্তকে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর পর ওষুধের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলেছে। সরকারি নথি থেকে জানা গেছে, গত জুলাইতে হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য এ ওষুধ ছাড়পত্র পেয়েছিল।
তবে করোনাভির ট্রায়াল তেমন বড় মাপের নয়, অর্থাৎ কম সংখ্যক মানুষের ওপর এ ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। আর ফার্ম ইতোমধ্যেই ফার্মেসিগুলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে। কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এ ওষুধ বাজারে আসবে। সম্ভবত সামনের সপ্তাহের রাশিয়ায় ওষুধের দোকানগুলিতে এ ওষুধ মিলবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, বিজনেসলাইন।
ভারতে নোভাভ্যাক্স টিকার ট্রায়াল অক্টোবরে : ভারত সরকার জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষদিকে আমেরিকান সংস্থা নোভাভ্যাক্সের তৈরি টিকার ভারতের ট্রায়াল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকাতে পর্যায়-২ ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে চলছে। বিশ্বজুড়ে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালগুলো আগামী মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতে নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য ভারতের পুনেভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে মার্কিন এ সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, এর কমপক্ষে ৫০ শতাংশই ভারতে সরবরাহের জন্য হবে।
শুক্রবার সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, ‘আইসিএমআর এবং এসআইআই (সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্স দ্বারা নির্মিত গ্লাইকোল প্রোটিন সাব-ইউনিট ন্যানো পার্টিকাল অ্যাডভান্সভেন্ট ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অংশীদার হয়েছে। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। আইসিএমআর-জাতীয় এইডস গবেষণা ইনস্টিটিউট নেতৃত্বে এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে’।
এটি দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, যার ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি ভারতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেরাম ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক পরীক্ষা-২ এবং পর্যায়-৩ এর পরীক্ষা করছে। ইংল্যান্ডে ট্রায়াল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরে পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এটি পুনরায় শুরু হয়েছে।
এগুলো ছাড়াও ভারতীয় সংস্থা বায়োটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলা নামে দুটি ভ্যাকসিন বর্তমানে ধাপ-১ এবং পর্যায়-২ পরীক্ষা চালাচ্ছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।