মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা লকডাউন চলছে মালয়েশিয়ায়। এতে দেশটির আর্থিক ও শিল্প খাতের পাশাপাশি কৃষি খাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। লকডাউনে শ্রমিক সংকট চরমে ওঠায় দেশটির প্রধান রফতানিপণ্য পাম অয়েল উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আগামী মাসগুলোয় পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এ ধারাবাহিকতায় দেশটিতে ভোজ্যতেলের উৎপাদন এক-চতুর্থাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
মালয়েশিয়ার কৃষি খাতে বিদেশী শ্রমিকের ব্যাপক অবদান রয়েছে। মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (এমপিওএ) জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে মালয়েশিয়া সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আগে থেকেই ভুগতে থাকা দেশটির রফতানিমুখী পাম অয়েল খাত বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। দেশটিতে পামওয়েল শিল্পের ভরা মৌসুম এখন। প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়।
শ্রমিক সংকট উওরণে বাগানের বাইরে টাঙানো হয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এতে শ্রমিকদের বিনামূল্যে আবাসন, খাবার পানি সরবরাহের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো এস্টেটে তো ট্রাক্টর চালানো থেকে সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শ্রমিকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা চললেও এক্ষেত্রে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ান নাগরিক যারা বিভিন্ন জেলে বন্দী রয়েছে তাদেরকে এই খাতে কাজে লাগানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ পামওয়েল উৎপাদনকারী দেশে হলো মালয়েশিয়া। সেখানে বর্তমানে কমপক্ষে ৩৭ হাজার শ্রমিকের সংকট রয়েছে। মোট যে পরিমাণ শ্রমিকের প্রয়োজন এই সংখ্যা তার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। মালয়েশিয়ান পামওয়েল এসোসিয়েশন (এমপিওএ) মনে করছে, সীমান্ত খুলে দেয়া হলে এসব শ্রমিক আবার ফিরে আসবে। কিন্তু সরকার সকল সীমান্ত বন্ধ রেখেছে।
এদিকে সীম ডারবির এস্টেট ম্যানেজার ইমরান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এবার পামওয়েল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, যে ফল থেকে পামওয়েল তৈরি করা হয়, তা নষ্ট হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। ফলে উৎপাদন বা ফল সংগ্রহ বিলম্বিত হলে বড় আঘাত লাগতে পারে উৎপাদনে। এর ফলে পামওয়েল উৎপাদনে মালয়েশিয়ার বড় প্রতিদ্ধন্ধী ইন্দোনেশিয়া সুবিধা পাবে। কারণ সেখানে শ্রমিকের কোনো সংকট নেই।
এমপিওএ’র প্রধান নির্বাহী নাগিব ওয়াহাব বলেছেন, যদি স্থানীয়দের নিয়োগ করা যায় তাহলে হয়তো উৎপাদন খরচ কমে আসবে। কিন্তু তারা কি এসব কাজ অভিবাসী শ্রমিকদের মতো করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে বড় এক প্রশ্ন রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে মালয়েশিয়ার বিশাল পামওয়েল শিল্পে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।