Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমেনি সবজির দাম রাজধানীর কাঁচাবাজার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায় দাম। পাইকারি বাজারে গত দুই দিনে কিছুটা কমেছে। তবে কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজের বাড়তি দামের সঙ্গে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এর সঙ্গে মুরগি ও ডিমের দামও চড়া।

গতকাল বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারে গত তিন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৭ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ২ টাকা করে কমেছে। আগেরদিন ৫ টাকা কমেছিল। দুই দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭ টাকা কমেছে। এবার পেঁয়াজের দাম গত বছরের মতো অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার আশঙ্কা নেই। ভারত পেঁয়াজ দিলে আগের দামে ফিরে আসবে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে শাকের দাম। তবে এর মধ্যে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বরবটির দাম, আর কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে করলার দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, চাল, ডাল, তেল ও মসলার দাম। আকার ও মানভেদে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। প্রতিকেজি হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, গাজর ৮০-৯০ টাকা, ঝিঙ্গা-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ৫০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৭০ টাকা কেজি দরে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০-৪৫ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।

অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল ও মসলার দাম। প্রতিকেজি মিনিকেট নতুন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৫৫-৫৬ টাকা, বাসমতি ৫৮-৬০ টাকা, আতপ চাল ৫৫-৬০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে। গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকা, পায়জাম ৪৫ টাকা ও আঠাশ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিদ্ধচাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজি। প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুরের ডাল দেশি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪৫ টাকা। তবে তার আগে ১১০-১১৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার মুরগি পাওয়া গেছে।

ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের দামও হাতের নাগালে নেই। আবার কয়েক মাস ধরেই সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এখন পেঁয়াজের জন্যও বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়ল। কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দিন যত যাচ্ছে বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ তত বাড়ছে। এখন নতুন করে বন্যা বা টানা বৃষ্টি না হলে কয়েক দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে যাবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাঁচাবাজার

২৬ জুন, ২০২১
১৭ এপ্রিল, ২০২১
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
১৬ জানুয়ারি, ২০২১
৫ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ