পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমনিতেই বাজারে সবজি ছাড়া প্রায় সব কিছুর দামেই ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। চাল, ডাল ও তেল যেন দাম বৃদ্ধিতে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করছে। এরমধ্যে দাম বৃদ্ধির তালিকায় আবার নতুন করে যোগ হলো ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাসের ব্যবধানে বাজার ভেদে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে সবজির দরে এখনও রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে। আর মাসখানেক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাসখানেক ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু সরবরাহ তুলনামূলক কম। এ কারণেই দাম বেড়েছে। তারা বলেন, সরবরাহ বেশি থাকায় কিছুদিন আগেও কেজি প্রতি ১২৫ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি। এখন সেই মুরগি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশ’ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
তারা আরো বলেন, এখন অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য ব্রয়লার মুরগি কেনা হচ্ছে। তাছাড়া চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রচুর মুরগি কেনা হচ্ছে। আমাদের ধারণা এসব কারণে দাম বেড়েছে।
এদিকে, প্রাণিজ আমিষের এই সহজলভ্য উৎসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফরিদা বেগম নামের একজন বলেন, এক কেজি গরুর গোশতের দাম ৬০০ টাকা। খাসির গোশতের দাম ৮০০ টাকা। এতো দাম দিয়ে গোশত কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। অনেক আগেই গরু-খাসির গোশত খাওয়া ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন ব্রয়লার মুরগিও মনে হচ্ছে কপাল থেকে উঠে যাবে। আগে এক কেজি বয়লার মুরগি কিনতাম ১৩০ টাকা দিয়ে, এখন ১৬০ টাকা লাগছে। বাজার করতে আসা ক্রেতার বলেন, সপ্তাহে একদিন গোশত। গরুর গোশত অনেক দাম হওয়ায় আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হয় না। তাই প্রতি শুক্রবার মুরগি কিনি। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষেরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ব্রয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে সোনালী ও লাল কক মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগির দাম বেড়ে ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। লাল কক মুরগির দাম ২৫০ টাকায় উঠেছে, তা গত সপ্তাহে দুইশ টাকার আশেপাশে ছিল।
মুরগির দামে অস্বস্তি দেখা দিলেও স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে। শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীর বাজারগুলো পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি তুলনামূলক কম দামেই কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
তবে গত সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে সব থেকে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে পটল ও ঢেঁড়স। এ দুটি সবজির কেজি এখনও কোনো কোনো বাজারে একশ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। শশার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়া, মুলার প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপির ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।
সবজির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৫ টাকায়।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ এখনও ভালো আছে। তাই তুলনামূলক কম দামেই সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তবে আর খুব বেশিদিন এই দামে সবজি পাওয়া যাবে না। টমেটো, কপির সরবরাহ কমে আসলেই সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।