পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে সয়লাব। বাড়তি দামে থাকা আলু ও টমেটোতেও অবশেষে স্বস্তি মিলেছে। বাজারে নতুন আলু ও পাকা টমেটোর সরবরাহ বাড়ায় এ দুটি পণ্যের দাম কমেছে। নতুন আলু ও দেশি পাকা টমেটো ২০ টাকা কেজি দরেই পাওয়া যাচ্ছে । ফলে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
কিছুদিন আগে সবজির দাম নিয়ে হা হুতাশ করছিলেন ক্রেতারা। তবে এখন দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কারণ বেশিরভাগ সবজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে পেঁয়াজের দামও ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। দুই কেজি নিলে কোনো কোনো বিক্রেতা ৭৫ টাকা রাখছেন। অথচ কিছুদিন আগেই দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা।
এদিকে কিছুদিন আগে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া নতুন আলু এখন মানভেদে ২০-২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের নতুন আলু কোনো কোনো বিক্রেতা দুই কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
বিক্রেতার বলছেন, কিছুদিন আগেও এক কেজি নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন ৪৫ টাকা দিয়ে দুই কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে। এই আলু আগের চেয়ে অনেক বড় এবং মানও ভালো। আগে যে সাইজের আলু ৫০ টাকা কেজি ছিল এখন তা ১৮-২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আলু-পেঁয়াজের মতো স্বস্তি দিচ্ছে পাকা টমেটো। কিছুদিন আগে পাকা টমেটোর কেজি ছিল ১০০ টাকার ওপরে। এখন তার থেকে ভালো মানের পাকা টমেটো ২০-৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
স্বস্তি দিচ্ছে অন্যান্য সবজির দামও। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, উস্তা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।
আলু, পেঁয়াজ, টমেটোর দামে স্বস্তি প্রকাশ করে ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম নিয়ে যে অশান্তি ছিল এখন তা আর নেই। টমেটোর কেজি ২৫ টাকা কিছুদিন আগে এটা কল্পনাও করা যেত না। শুধু কি টমেটো, সবকিছুর দাম ছিল অস্বাভাবিক। সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যেত। কিন্তু এখন সব ধরনের সবজি কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
ফলমূল সবজি দোরগোড়ায়
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীর দোরগোড়ায় শীতকালীন ফলমূল ও সবজি বাজার। ভ্যানে ও ট্রলিতে থরে থরে সাজিয়ে শীতকালীন টাটকা সবজি, ফলমূল নিয়ে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য বাজারে যেতে হচ্ছে না। ক্রেতারা ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন মাছ, সবজি, ফলমূল। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দামও নিম্নমুখী। এতে স্বস্তিতে ক্রেতারা। হাটবাজারের পাশাপাশি নগরীর অলিগলি এমনকি আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ির সামনে বিক্রেতারা শাকসবজি, ফলমূল নিয়ে আসছেন।
করোনাকালে টানা লকডাউনের সময় এ ধরনের বেচাকেনা বেড়ে যায়। করোনায় পেশা বদল করে অনেকে শাকসবজি, ফলমূল বিক্রিতে নেমেছেন। এর ফলে ক্ষুদে বিক্রেতাদের সংখ্যাও বেড়েছে। বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে পণ্য পাচ্ছেন নগরবাসী। করোনাকালে জনসমাবেশ এড়াতে অনেকেই বাজারে না গিয়ে তাদের কাছ থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের বেশিরভাগই গৃহিনী। বাড়ির আঙ্গিনায় দরদাম করে তারাই পছন্দের জিনিস কিনে নিচ্ছেন। এর ফলে কর্মজীবীদের সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে।
এদিকে নগরীর বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, রেয়াজুদ্দিন বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আলু প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা, বেগুন ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা , বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, মুলা ১০-১২ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, শশা ২০-২৫ টাকা, শীম ৩০-৪০ টাকা। ফলের মধ্যে কেজি প্রতি বরই ৫০-৭০ টাকা, জলপাই ৫০-৬০ টাকা, আমলকী ৭০-৯০ টাকা, সফেদা ৫০-৬০ টাকা, মালটা মানভেদে ৮০-১৪০ টাকা, কমলালেবু মানভেদে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। করোনায় এসব দেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।