বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর থেকে শেরপুর জেলার ৪টি পৌরসভাতেই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ। একই সাথে দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চালানো হচ্ছে নানা কৌশল। শেরপুর পৌরসভায় প্রার্থী বাছাইয়ে কঠিন সমস্যায় আছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দলের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে দলের প্রার্থী বাছাই করতে নানা কৌশল ও ছক আঁকতে শুরু করেছে।
সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিতে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন কে কে পাচ্ছেন তা নিয়ে চায়ের আড্ডাসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা গুঞ্জনের পাশাপাশি চুলচেরা বিশ্লেষণ। জানা যায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন শেরপুর পৌরসভাসহ সারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভায় আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পরপরই অন্যান্য এলাকার মতো শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের প্রাথমিক তৎপরতা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দু’দফার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হাসান উৎপল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিকনেতা আরিফ রেজা। তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র লিটনের পক্ষে মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা না থাকলেও উচ্চ পর্যায়ে ঠিকই যোগাযোগের পাশাপাশি করছেন দৌড়-ঝাঁপ। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল তার পক্ষে ফেসবুক প্রচারণার পাশাপাশি শহরে করছেন লিফলেট প্রচারণা। গ্রীন সিগনাল পেয়ে মাঠে রয়েছেন
রাজধানী ঢাকায় গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে যুক্ত আনিসুর রহমানও। থেমে নেই প্রয়াত শ্রমিক নেতা সেলিম রেজার ছেলে বয়সে সবচেয়ে তরুণ শ্রমিকনেতা আরিফ রেজা। আওয়ামী লীগের যোগ্যতাসম্পন্ন ৫ প্রার্থীর মধ্যে একজনকে মনোনয়ন করাই দলের নেতাদের কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শহর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত অ্যাডভোকেট একেএম ছাইফুল ইসলামের একমাত্র পুত্র মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা বিএনপির অপর সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু রায়হান রূপম, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও শহর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক মাস্টার, জেলা বিএনপির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক পৌরপতি প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক আশীষের পুত্র হাসানুর রেজা জিয়া এবং শহর বিএনপির সদস্য সচিব, সাবেক ছাত্রনেতা রমজান আলী।
এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান সরাসরি রয়েছেন বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে। অন্যরা ফেসবুক প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন একাধিক নেতা মনোনয়ন চাওয়ায় তার পক্ষেও এখানে প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।