পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যক্তিত্ব-জনপ্রিয়তা-যোগ্যতা দেখে প্রার্থী করা হয় : ফারুক খান, অনিয়মের সঙ্গে যুক্তরা বাছাইয়ে ছাড় পান না : আব্দুর রাজ্জাক
ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ৭০ বছর আগে গঠিত হয়েছিল গণমানুষের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘপথ পরিক্রমায় দলটি শেকড় পর্যায়ে রয়েছে শক্তিশালী ভীত। দেশের এমন কোনো গ্রাম নেই, সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত-নিবেদিতপ্রাণ নেতা নেই। হাইব্রিড, কাউয়া, বসন্তের কোকিলের মতো অনেকেই এখন দলে ভিড়ে ‘ক্ষমতার মধু’ খেলেও দলটিতে ত্যাগী বহু নেতা রয়েছেন। ’৭৫ এর পর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটিতে ধরেছেন অনেকেই ব্যক্তিজীবনের সবকিছু উজার করে দিয়ে। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন; প্রতিপক্ষের মন্ত্রী-এমপি লোভ সংবরণ করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দলটির যোগ্য নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের বদলে পরিবারতন্ত্র চর্চার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে নির্বাচন এলেই প্রার্থী মনোনয়নে মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাধান্য দেয়া হয়। বঞ্ছিত হয়ে পর্দার আড়ালেই থাকেন ত্যাগী-যোগ্য নেতারা। কোনো এমপি নিহত হলেই পরিবারের উত্তরসূরিদের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দিতে দেখা যায়। এবারের উপনির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার আওয়ামী লীগ বোধহয় পরিবারতন্ত্র থেকে বের হয়ে আসছে।
কয়েক বছর ধরে দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী দলটির দলীয় পদের ক্ষেত্রে পরিবার বড় ভ‚মিকা রাখে। নেতার ছেলে বা মেয়ে এক রকমের পদাধিকার বলেই পদ পেতে দেখা যায়। মনোনয়নের ক্ষেত্রে যোগ্য পরীক্ষিতদের বদলে উপ-নির্বাচনগুলোতে এমপি পরিবারের কাউকে বাছাই করা হয়। পরিবার প্রাধান্য পায়, যদি পরিবারের কেউ আগ্রহী না হন বা একেবারেই যোগ্য না হন তাহলে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দিতে দেখা গেছে। গত নির্বাচনেও এমপি পরিবারের প্রধান্য লক্ষ্য করা গেছে। তবে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এ রীতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমপি পরিবারের বাইরে দলের প্রবীণ ও ত্যাগীদের মনোনয়নে প্রাধান্য দিতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন আসনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এমপি পরিবারের প্রভাব থেকে মুক্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-৪, নওগাঁ-৬, ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ পাঁচটি আসনের উপ-নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন উদাহরণ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে যারা দলের জন্য কাজ করে আসছেন তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও চারটি আসনে এমপি পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বরং এমপি বিরোধী হিসেবে পরিচিতদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এমপি মনোনয়নে পারিবারিক প্রাধান্য থাকার কারণে রাজনীতিতে প্রবীণ এবং ত্যাগী হয়েও ওই আসনের এমপি পরিবারের বেড়াজাল পেরিয়ে সংসদে আসতে পারেন না অসংখ্য নেতা। সংসদীয় আসনে মনোনয়নে দলের কৌশল বা রীতিনীতি পরিবর্তনের মনোভাব আশা জাগিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের। তারাও এখন স্বপ্ন দেখছেন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। যা আগে তারা অনেকক্ষেত্রে কল্পনাও করতেন না।
সারা দেশে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে এমপিদের বিরোধিতা শুরু করেন অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এমপি এবং তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের অপকর্মের কারণে এমন বিরোধীতা শুরুর মূল কারণ। অনেক এলাকায় এ নিয়ে মারামারিও ঘটেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিতর্কিতরা মনোনয়ন পাবে না, দলের ত্যাগীরা মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে নানান মেকানিজমের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে ধীরে ধীরে দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে কৌশল পরিবর্তন করছে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পরিবারের সদস্যদের অপকর্ম ও বিতর্কিত কর্মকাÐে ক্ষুব্ধ হয়েই তাদের মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের নীতি-নির্ধারকরা। গড়ে দুই দশকের বেশি সময় পরে এই প্রার্থী বদলের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার ভারসাম্য যেমন আসবে, তেমনি পারিবারিক আধিপত্য খর্ব হবে বলে তারা মনে করেন।
সম্প্রতি ঢাকা-৫, পাবনা-৪ ও নওগাঁ-৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে যথাক্রমে কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও আনোয়ার হোসেন হেলালকে। বাকি ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১-এর প্রার্থী ঘোষণা না হলেও মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের একাধিক নেতা। তবে নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী) আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ২৪ বছর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ভূমিমন্ত্রী মহহুম শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। গত ২ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করায় আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তিনি কয়েক বছর ধরেই ডিলুবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন; যদিও ডিলুর স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের আটজন সদস্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সূত্র জানায়, ডিলুর পরিবারের কারো মনোনয়ন না পাওয়ার কারণ তাদের বিতর্কিত কর্মকাÐ ও পারিবারিক কলহ। তাদের মধ্যে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরেন। ডিলুর জীবদ্দশাতেই ছেলে ও মেয়ের জামাইয়ের মধ্যে একাধিক বিবাদের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
নওগাঁ-৬ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম। এই উপনির্বাচনে ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভীন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন পাওয়া হেলাল বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় হেলালকে রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল জেলা কমিটি। ইসরাফিল আলমের সঙ্গে তীব্র বিরোধ ছিল তার।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা পাঁচবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান হাবিবুর রহমান মোল্লা। এর মধ্যে চারবার তিনি জয়ী হন। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মোল্লা পরিবারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। আসনটিতে মোল্লার ছেলে ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল মনোনয়নের দাবিদার ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে মোল্লা পরিবারের আধিপত্যের কারণে কোণঠাসা নেতাদের মূল্যায়ন করতেই মনুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নের চেষ্টা করেও পাননি শেখ কামালের স্ত্রীর সুলতানা কামালের ভাতিজী নেহরীন মোস্তাফা দিশি। ঢাকা-১৮ আসনে চ‚ড়ান্ত হওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিব হাসান একসময় সাবেক সংসদ সদস্য সাহারা খাতুনের ঘনিষ্ঠ থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য চলছিল। আসনটিতে সাহারা খাতুনের ছোট বোন নাজমা আক্তার, ভাতিজা আনিসুর রহমান, ভাগিনা মজিবুর রহমানসহ ৫৬ জন মনোনয়ন ফরম কিনলেও শেষ পর্যন্ত তারা মনোনয়ন পাননি। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে এখনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এছাড়া সা¤প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত পাঁচটি আসনের উপ-নির্বাচনে বগুড়া-১ ছাড়া বাকি চারটিতেই সাবেক এমপি পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বগুড়া-১ এ দলের মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হয়েছেন সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান। এছাড়া গত বছর নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তার ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।
এছাড়া যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন সাবেক এমপি ইশমত আরা সাদেকের কন্যা নওরীন সাদেক। গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সাবেক এমপি ইউনুস আলী সরকারের ছেলে ড. ফয়সল ইউনুস মনোনয়ন চেয়েও পাননি। বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে এমপি হয়েছেন আমিরুল আলম মিলন। সাবেক এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেনের পুত্রবধূ ইসমত আরা শিরিন চৌধুরী মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত হওয়া উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। ঢাকা-১০ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন করার কারণে পদত্যাগ করেন। এই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন গ্রার্মেন্টস ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন এমন সংখ্যা অনেক। বলা চলে আওয়ামী লীগের রীতিনীতির অংশ হয়ে গিয়েছিল। দলের মনোনয়নে নওগাঁ-৫ আসনের এমপি হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ছেলে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল ডন, শরিয়তপুর-৩ আসনের এমপি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক; বাগেরহাট-২ আসনে শেখ হেলালের ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়; কুমিল্লা-৪ আসনে সাবেক এমপি ও উপমন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সির ছেলে রাজি মোহাম্মদ ফখরুল; ২০১৮ সালের উপনির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন খুলনা সিটির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী বর্তমান বন-পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে নিহত এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী। বরিশাল সিটির মেয়র হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ছেলে সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হয়েছিলেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন। এরা সবাই পারিবারিক কারণে দলীয় মনোনয়ন পান।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আমরা কোনো কিছু থেকেই বেরিয়ে আসিনি। কোনো কিছুতে ঢুকিও না। আওয়ামী লীগের এমপি মারা গেলে তার পরিবারে দেয়া হয়, এটা সত্য নয়। আমাদের মনোনয়ন দেয়া হয় প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা এবং সাধারণ মানুষের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায়। দল যে দায়িত্ব দেবে সে দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা আছে কী না। একই সাথে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আছে কী না। এসব বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই মনোনয়ন দেয়া হয়। অনেক সময় এমন হয়েছে, দেখা গেছে একজন এমপি মারা যাওয়ার পর ওই নির্বাচনী এলাকায় তার স্ত্রী বা সন্তান বেশি জনপ্রিয়। দলের নেতাকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক। তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে। এমপি মারা গেছেন, তার আত্মীয় হিসেবে দেয়া হয়নি। আমরা দেখেছি কে যোগ্য, তাকে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবারের সদস্য হওয়া কারো যোগ্যতাও না, অযোগ্যতাও না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তার পরিবারের কোনো সদস্যও যদি অনিয়মে জড়িত হন, তবে তাঁরও ছাড় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’ এবারের সব কটি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।