যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
স্বাভাবিক জীবনযাপনে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে মানুষ। সতর্কবিধি মেনেই শুরু হয়েছে সিনেমা-নাটকের শুটিং ও রেকর্ডিংয়ের কাজ। অনেক তারকাই সিঙ্গল গান রেকর্ড করেছেন। গান গাওয়া শরীর ও মনের পক্ষে ভাল।
তবে করোনা সঙ্কটের এই আবহে গলা ছেড়ে গান গাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন কথাই বলছেন।
কীভাবে করোনা ছড়াতে পারে তা নিয়ে অনেক মতামতই প্রকাশ্যে এসেছে। জোরে গান গাইলে করোনা ছড়াতে পারে সম্প্রতি সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নাল এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, জোরে গান গাওয়ার সময় মানুষের মুখ থেকে বেশি বাষ্প নির্গত হয়। যা আশেপাশের বাতাসে মিলিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতেই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।
একটি সমীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। এর জন্য ১২ জন সঙ্গীতশিল্পীকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে আটজন ছিলেন অপেরা শিল্পী। এদের মধ্যে দু’জন আবার ছিলেন করোনা আক্রান্ত। সমস্ত রকমের সুরক্ষা ব্যবস্থা করে একটি ঘরে ঢুকিয়ে প্রত্যেককে দিয়ে গান গাইতে বলা হয়।
অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন এমন ক্যামেরা রাখা হয় যাতে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। দেখা যায়, যখন শিল্পী জোর কণ্ঠে গান গাইছেন তখন তার মুখ থেকে অতি বড় মাপের বাষ্পকণা নির্গত হচ্ছে। তা তার আশেপাশের বাতাসের অনেকটা জায়গা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। ধীর কণ্ঠে গান গাইলে নিশ্বাস-প্রশ্বাসে জোর কম পড়ে। আর মুখ থেকে যে বাষ্পকণাগুলো বের হয় তা খুবই ছোট হয়। ফলে বাতাসে বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না।
তাহলে কি কণ্ঠ ছেড়ে গান গাওয়া সম্ভব নয়? সম্ভব হতেই পারে, যদি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে তা গাওয়া হয়। আর মুখে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এমনটাই মত গবেষকদের। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।