চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : নিজ বাড়ী থেকে ব্যবসার কাজে প্রায় দু’শত কিলোমিটার দূরে যাতায়াত করতে হয়। এমতাবস্থায় মুসাফিরের জন্যে সুন্নত, নফল ইত্যাদি পড়তে হয় কি না, জানতে চাই।
উত্তর : শরীয়ত নির্ধারিত দূরত্বে নিয়মিত যাতায়াত করলেও মানুষ মুসাফির হয়ে থাকে। এ সময় ফরজ নামায ‘কসর’ পড়তে হয়। সুন্নতে মোয়াক্কাদা একান্তভাবেই ঐচ্ছিক পর্যায়ে চলে যায়। যারা সারা বছরই দূরদূরান্তে সফর করেই কাটায়, যেমন: পাইলট, নাবিক, জাহাজ ও বিমানের ক্রু প্রভৃতি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্যে সারা বছরই মুসাফিরের হুকুম।
প্রশ্ন : আমরা গ্রামবাসী যুবকেরা ভলিবল খেলি। উক্ত খেলায় উৎসাহের জন্যে সবাই মিলে মিষ্টির ব্যবস্থা করি। খেলা শেষে দর্শক ও উভয় পক্ষের খেলোয়াড় মিলে তা খাওয়া হয়। এ মিষ্টি খাওয়া কি বৈধ হবে? কেউ কেউ বলেন, এমন করা ঠিক নয়। সঠিক কথাটি জানতে চাই।
উত্তর : আমাদের দেশের যুবসমাজ খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম করে বলে বৈধ ও নির্দোষ খেলাকেও হক্কানি উলামায়ে কেরাম ও সমাজের দ্বীনদার মানুষ নিষিদ্ধ পর্যায়ে ফেলে রাখতে বাধ্য হন। আলোচ্য ভলিবল খেলাটিও ফরজ তরক না করে খেললে কোনো খারাপ বিষয় বলে গণ্য হবে না। এতে মিষ্টি জাতীয় কিছু হালাল পয়সায় কিনে সবাই মিলে খেলেও কোনো দোষ হওয়ার কথা নয়। তবে খেলার সময় খেলোয়াড় ও দর্শকদের নামাজ নষ্ট করা, সতর খুলে খেলা, বাজি ধরা ইত্যাদি অপরাধ সংঘটিত হলে, এ খেলাকে আর সমর্থন করা যায় না। মানুষের অসন্তুষ্টির চাঁদায় অথবা খেলার হার-জিতের ভিত্তিতে অর্জিত ব্যক্তির পয়সার মিষ্টি খাওয়া হলে, এ নিয়ে ভিন্নমত সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। আপনার ভাষায় কেউ কেউ হয়তো এসব কারণেই এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে থাকেন।
প্রশ্ন : আমরা সবসময় শুনে এসেছি যে, স্বামীর নাম মুখে আনলে গোনাহ হয়। কিন্তু ইদানীং অনেককেই স্বামীকে নাম ধরে ডাকতে দেখা যায়। বিষয়টি আসলে কী, জানতে চাই।
উত্তর : স্বামীর নাম মুখে আনলে বা প্রয়োজনে কখনো তাকে নাম ধরে ডাকলে গোনাহ হয় না। কিন্তু স্বামী যেহেতু নারীর প্রধান এবং পরম অভিবাবক-মুরব্বি অতএব নিজ পিতা-মাতা, চাচা, মামা ও শিক্ষকের ন্যায় স্বামীকেও নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয়। আমাদের মুসলিম সমাজে স্বামীর নাম মুখে না আনার বিষয়টি সম্ভবত এ সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতেই চালু হয়েছে। স্বামীর নাম মুখে আনায় গোনাহ না হলেও অসমীচীনতাজনিত ত্রু টি অবশ্যই হয়। অবশ্য ক্ষেত্রভেদে এ অশোভনীয়তার বিধি শিথিলযোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।