পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর হলদিয়া গ্রামের সামনে গুনাই নদীতে বালুবাহী নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দা। নিহত আরেকজনের বাড়ি নেত্রকোনা সদরে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর স্ত্রী লুৎফুন্নাহার, তার আড়াই বছরের ছেলে ইয়াসিন, একই গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী মজিদা আক্তার (৫০), জামালপুর গ্রামের জোবাইরের ছেলে মোজাহিদ (৪), একই গ্রামের আব্দুল করিমের সুলতানা আক্তার (৪৫), মধ্যনগর এলাকার কামারউড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে অনিক (৭), একই গ্রামের হাবিকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০), তার দুই শিশু সন্তান টুম্পা আক্তার (৫) ও জাহিদ হোসেন (৩) এবং নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৪৫)।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম হাদিছুজ্জামান বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানান, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনা জেলার ঠাকুরাকোনায় আসার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজনগর হলদিয়া গ্রামের সামনে গুনাই নদীতে বালুবাহী একটি স্টিল বডির নৌকার সাথে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি কাৎ হয়ে ডুবে যায়। ট্রলারের বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকেই নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার জন শিশু এবং ৫ জন মহিলা রয়েছে।
স্বজনদের দাবি এখনও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলো, মোফাজ্জল হোসেন (৩৭), ফাতেমা আক্তার (৪৫), রতন মিয়া (৩৫) ও মনিরা আক্তার (৫)। স্বজনদের আহাজারীতে এলাকার বাতাস ক্রমশ ভারী হয়ে উঠেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। যাত্রীবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ট্রলারচালক ও বালু বোঝাই নৌকার চালক পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতদের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, মৃতদের লাশ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া ও দাফন-কাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক মধ্যনগরের নিহত ৯টি পরিবারের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে এবং নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের নিহত একটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।