পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নবজাতকের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বরিশালের উজিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন মা-বাবাসহ অ্যাম্বুলেন্সের ৬ যাত্রী। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান নবজাতককে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি দুমড়ে-মুচরে সব যাত্রীই নিহন হন। গতকাল সন্ধ্যায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সকলে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তারা নবজাতকের লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে বাউকাঠিতে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন।
উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, নিহতদের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আলমগীরের পরিচয় জানা গেছে। অন্য নিহতরা হচ্ছেন- তিনদিন বয়সী শিশু কন্যা তামান্নার বাবা ঝালকাঠির বাসিন্দা মো. আরিফ রাঢ়ী, মা শিউলী বেগম, দাদী নুরজাহান বেগম, কাকা কাইয়ুম রাঢ়ী ও অজ্ঞাত এক পুরুষ। দুর্ঘটনার শিকার শিউলী বেগম দুইদিন আগে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। পরে নবজাতক অসুস্থ হয়ে মৃৃত্যুবরণ করে। লাশটি নিয়ে নবজাতকের বাবা-মাসহ পরিবারের আরও ৫-৬ জন সদস্য অ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠির বাউকাঠি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনাস্থল আটিপাড়ার বাসিন্দা বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ বলেন, উজিরপুরের আটিপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসকে অতিক্রম করতে চেয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা মেসার্স গাজী রাইস মিলের একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে পিছনে থাকা মায়া ট্রাভেলসের অপর একটি যাত্রীবাহী বাস কাভার্ড ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ছিটকে সড়কের পাশে গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। জুনায়েদ জানান, তিনিসহ অন্যরা দৌঁড়ে অ্যাম্বুলেন্সের কাছে গিয়ে ৬ জনের লাশ দেখতে পান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটির বিভিন্ন অংশ কেটে লাশগুলো বের করা হচ্ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।