মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রুশ নাগরিকদের মধ্যেই রাশিয়ার তৈরি করোনা টিকা গ্রহণের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। স্পুৎনিক ভি নামের করোনা টিকাটি প্রয়োগের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক, চিকিৎসক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বেছে নেওয়া হলেও তাতে তেমন একটা সাড়া মিলছে না। এখনো তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ না হওয়া স্পুৎনিক ভি ভ্যাকসিন নিয়ে রুশ নাগরিকদের মধ্যেই অনাস্থা রয়েছে।
গত ১১ আগস্ট প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিশ্বের প্রথম টিকা হিসেবে ‘স্পুৎনিক ভি’ অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তার মেয়ে মারিয়ার শরীরে ওই টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তাদের উদ্ভাবিত টিকার ব্যাপারে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে শীর্ষ ধনী দেশগুলো রাশিয়ার টিকা স্পুৎনিক ভি’র ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি। রুশ টিকাটি ট্রায়াল সময়সীমা অতিক্রম করেনি এমন অভিযোগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শুরু থেকেই করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিএনএনের এক প্রতিবেদন বলছে, খোদ রুশ জনগণই স্পুৎনিক ভি’র প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না।
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে রাশিয়ার স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। একইদিনে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। সবার আগে রাশিয়ার নতুন করোনা টিকা সুবিধা ভোগ করবেন সেখানকার শিক্ষকরা। কারণ প্রতিদিনই তাদের শত শত শিশুর সংস্পর্শে আসতে হবে। তবে সিএনএন বলছে, এখন পর্যন্ত বলতে গেলে একজন শিক্ষকও টিকা গ্রহণের প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
রাশিয়ার শিক্ষকদের সংগঠন ‘উচিটেল’ সরকার অনুমোদিত টিকা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে অনলাইন পিটিশন চালু করেছে। নিরাপত্তাগত কারণ দেখিয়ে তারা দাবি করেছে, বর্তমানে টিকা গ্রহণের বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে; চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে এটি যেন বাধ্যতামূলক না করা হয়। ‘উচিটেল’-এর কো-চেয়ারম্যান ম্যারিনা বালুয়েভা পিটিশনকে সতর্কতামূলক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা স্পুৎনিক ভি নিয়ে উদ্বেগের বেশকিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত এটা জানা কথা যে বিদেশে তৈরি টিকার তুলনায় দেশে তৈরি টিকার গুণগত মান খারাপ হয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমাদের টিকা ট্রেনের গতিতে বানানো হয়েছে। খুব তাড়াহুড়া করে বানানো হয়েছে এটি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।