পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দেশে করোনা সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পুনরায় যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেসময় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হলে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে যাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা যায়, সেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা’ সব বিদ্যালয়ে পাঠাতে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে অনুরোধ করেছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপের উপর পোস্টার ও লিফলেটের খসড়াসহ একটি প্রস্তাব দিতেও অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কখন বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা যাবে সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সে অনুযায়ী জাতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তার উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ইতোমধ্যে সবকিছুই স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উপযোগী হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চান না তারা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তাই দেশে অনুকূল পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এদিকে করোনার কারণে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ হবে না বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অটো পাশের চিন্তাও করছে প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে গতকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ছয়টি মাত্রা যথা- নীতি নির্ধারণ, অর্থ সংস্থান, নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনা, শিখন, সার্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং সুস্থতা/সুরক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করে এই নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পাঁচ পৃষ্ঠার ওই নির্দেশিকার আলোকে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তাও বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করতে এবং প্রতিটি শিশুর শিখন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করতে এই নির্দেশিকাটি ক্রমাগত অভিযোজন ও প্রাসঙ্গিকরণ করা প্রয়োজন হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় খোলার আগে ও চলাকালীন করণীয়বিষয়ক বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা হবে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে আলাদাভাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে ৫০টির বেশি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।