বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গতকাল দুপুরে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে হত্যা মামলার আসামি তোফায়েল আহমেদ আলমাছের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় সাংবাদিকরা অস্ত্রধারীদের হাত থেকে বেঁচে যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বিক্ষুব্ধ শতশত লোক আলমাছ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থান নেয়। পরে প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই আলমাছ বাহিনীর লোকজন প্রেসক্লাব কার্যালয় এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে।
বিষয়টি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ থানার ওসি, এএসপি এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে এএসপি ও ওসি রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এসময় আলমাছ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর দুই সদস্য গ্রেফতার হলে আলমাছ চেয়ারম্যান সটকে পড়েন।
উল্লেখ্য, আলমাছ চেয়ারম্যানের বিভিন্ন হত্যাকাÐসহ নানা অপরাধের সংবাদ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করার পর ওই চেয়ারম্যান রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। সে বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরেই গতকাল দুপুরে এ হামলা হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। মহড়া চলাকালে প্রেসক্লাব ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অফিসের লোকজনসহ আশপাশের এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর থেকেই জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৬৫ সাংবাদিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার আলী হোসেনের ছেলে দিলিপ ও সরকারপাড়া এলাকার নঈমুলের ছেলে সিব্বির।
সাংবাদিকরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে সশস্ত্র অবস্থায় আলমাছ বাহিনীর সাদ্দাম, তাহের, সুমন, দিলীপ, সিব্বিরসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন অবস্থান নেয়। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় সন্ত্রাসীরা কর্মরত সাংবাদিকদের কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। দুপুর একটার দিকে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী পিস্তল তাক করে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আলমাছ সটকে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি পৌঁছে দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহিন ফরাজী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।