মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’ এর প্রথম ব্যাচ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সোমবার এই তথ্য জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভবিষ্যতে কোথায় কীভাবে তারা ভ্যাকসিনটি বিতরণ করবে তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সোমবার ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভাল আছেন। শরীরে কোনও অস্বস্তি নেই। ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি, রুশ বাণিজ্য মন্ত্রী ডেনিস মানতুরোভের মতো রুশ শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন।
বিবৃতিতে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম ব্যাচের ‘স্পুটনিক-৫’ ভ্যাকসিনের সব প্রয়োজনীয় গুণগত পরীক্ষা রোজদ্রাভনাদজর পরীক্ষাগারে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ব্যাচের সব টিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অব ইপিডেমিওলোজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি, রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। গত ১১ আগস্ট রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বে প্রথম হিসেবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ এর অনুমোদন দেয়। রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার এই ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নিকট ভবিষ্যতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্পুটনিক পাঁচ ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। প্রথম দুই ধাপের ট্রায়ালে সে প্রমাণ মিলেছে। ভ্যাকসিনের ডোজে মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। ভ্যাকসিনটি টি-কোষও সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধ তৈরি করছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টও ভাল। এই পর্যায়ে বহু মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি দিয়ে দেখা গেছে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কোয়ালিটি টেস্টে পাশ করার পরে মেডিক্যাল ডিভাইস রেগুলেটরের অনুমতিও মিলেছে। তাই ভ্যাকসিনের প্রথম ইউনিট বাজারে আনা হয়েছে।
বিশ্বে প্রথম হিসেবে রাশিয়ার অনুমোদিত এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা জানতে শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও চলমান। তার আগেই রাশিয়ার জনগণের মাঝে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। তবে মানবদেহে পরীক্ষার মাত্র দুই মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় অনেকেই রাশিয়ার বৈজ্ঞানিক সক্ষমতারও প্রশংসা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।