পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ফিলিস্তিনের ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চান বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সোমবার গালফভুক্ত দেশগুলোর এমন চাওয়ার কথা তিনি টেলিফোনে জানান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়। গতমাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এ প্রথম সউদী বাদশাহ এ বিষয়ে মুখ খুললেন। ২০০২ সাল থেকেই দেশটি ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনা নিয়ে কাজ করে আসছিলো। বাদশাহ সালমান ট্রাম্পকে বলেন, সউদী আরব ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান দেখতে চায়, যা ছিল ২০০২ সালে আরব পিস ইনিশিয়েটিভ শুরুর মূল কারণ। ওই প্রস্তাবের আওতায়, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তি এবং ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখল করা অঞ্চল থেকে ইসরাইল নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করলে, বিনিময়ে আরব দেশগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। সউদী আরব ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তবে চলতি মাসে সউদী জানায়, আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে ফ্লাইট চালু এবং এক্ষেত্রে ইসরাইলি প্লেনকেও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে দেশটি। অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, ওই ফোনালাপে ট্রাম্প বাদশাহ সালমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং পরে তারা আঞ্চলিক সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা করেন। আরব নিউজ এ খবর জানায়। সোমবার সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ফোনালাপে সউদী বাদশাহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নে রিয়াদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর তৃতীয় আরব রাষ্ট্র হিসেবে গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬ আগস্ট সচল হয় দুই দেশের টেলিফোন যোগাযোগ। সবশেষ দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বিমান চলাচল চালু হলে সউদী আরব তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। নিউজ উইককে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বলেন, আমিরাতের পর সউদী আরবসহ উপসাগরীয় বাকি দেশগুলোও ইসরাইলের সঙ্গে ‘অনিবার্যভাবে’ চুক্তি করবে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে সউদী বাদশাহ সালমান বলেছেন, দেশটি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান দেখতে চায়, যা ছিল ২০০২ সালে আরব পিস ইনিশিয়েটিভ শুরুর মূল কারণ। আরব শান্তি উদ্যোগের আওতায়, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তি এবং ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখল করা অঞ্চল থেকে ইসরাইল নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করলে, বিনিময়ে আরব দেশগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। এদিকে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, ওই ফোনালাপে ট্রাম্প বাদশাহ সালমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং পরে তারা আঞ্চলিক সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা করেন। আরব নিউজ, গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।