রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩১ জন গ্রাহকের মিটার সংযোগের আবেদনে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফারুক হোসেন ও রুবেল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম ও ওয়্যারিং পরিদর্শকের স্বাক্ষর জাল করে আবেদনগুলো জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম বাদী হয়ে গত ২৪ আগস্ট কমলনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ফারুক উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকার সেলিম মিয়া এবং রুবেল একই এলাকার আব্দুর রবের ছেলে।
অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, চরবসু এলাকার দালাল ফারুক ও রুবেল ঐ এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিদ্যুৎ দিবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। এলাকার গরীব নিরিহ মানুষ তাদেরকে বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। গ্রাহকদের টাকা পয়সা নিয়ে দালাল ফারুক ও রুবেল ডিজিএমের স্বাক্ষর জাল করে এই প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তবে তাদের এই প্রতারণার সাথে কয়েকজন ইলেক্ট্রিশিয়ান জড়িত বলে জানা যায়।
অভিযোগকারী লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামগতি জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম সুমন জানান, তার কার্যালয়ের অধীন কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকায় নতুন সংযোগের কাজ চলছে। এ সুযোগে স্থানীয় দালাল ফারুক ও রুবেল নামে দুই ব্যক্তি নিজেদের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোক দাবি করে এলাকার ৩১ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিসে মিটার সংযোগের আবেদন জমা দেয়। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায়, আবেদনগুলোতে দেয়া ডিজিএম আবু বকর সিদ্দিক ও ওয়্যারিং পরিদর্শক মোশারেফ হোসেনের স্বাক্ষর ভুয়া। পরে সরেজমিন পরিদর্শন করে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দু’জন দালালের প্রতারণার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বকর সিদ্দিক জানান, তার স্বাক্ষর জাল করে আবেদনগুলো জমা দেয়া হয়েছিল। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঐ দালালদের জালিয়াতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে ফারুক ও রুবেল জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামগতি জোনাল অফিসে এক ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্যমে তারা আবেদনগুলোতে ডিজিএম ও ওয়্যারিং পরিদর্শকের স্বাক্ষর নিয়েছেন। পরে জানতে পারেন স্বাক্ষরগুলো সঠিক নয়। ভুয়া ও জাল স্বাক্ষর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।