Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ব্যথার ধরন ও মুখের জ্বালাপোড়া

| প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ব্যথা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অমূল্য দান। কারণ ব্যথা না হলে মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীরে কোনো মারাত্মক রোগ থাকলেও আমরা অনুভব করতে পারতাম না। যার ফলে অনেক মানুষই অকালে মৃত্যুবরণ করতো। ব্যথা আছে বলেই রোগ নির্ণয় করা যায়, চিকিৎসা হয় এবং মানুষ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। দাঁতে বা মুখে আমরা যে ধরণের ব্যথা অনুভব করি তা সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে। (ক) সার্প বা স্ট্যাবিং ধরণের ব্যথা। (খ) ডাল বা থ্রবিং অথবা বোরিং ধরণের ব্যথা । (গ) বার্নিং বা জ্বালাপোড়ার মতো ব্যথা।

সার্প বা স্ট্যাবিং ধরণের ব্যথা দেখতে পাওয়া যায় অর্থাৎ অনুভুত হয় ঃ- (১) এক্সপোজড্ ডেন্টিন অর্থাৎ ডেন্টিন বের হয়ে গেলে। ডেন্টিন যে সব ক্ষেত্রে বের হয়ে যায় সেগুলো হলো (ক) সেনসিটিভ রুট ডেন্টিন (খ) ফ্রাকচারড্ রেস্টোরেশন। (গ) ফ্র্যাকচারড্ দাঁত। (ঘ) দন্তক্ষয় (ঙ) দাঁতে ফাটল ধরলে। (চ) আর্লি দন্তমজ্জার প্রদাহ (ছ) ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া। (জ) গøসোফ্যারিনজিয়াল নিউরালজিয়া।
শার্প বা স্ট্যাবিং ব্যথা সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে।

ডাল বা থ্রবিং অথবা বোরিং জাতীয় ব্যথা পরিলক্ষিত হয় ঃ-
(ক) বিলম্বিত দন্তমজ্জার প্রদাহ। (খ) এপিক্যাল এবং ল্যাটারাল পেরিওডন্টাইটিস (গ) পেরিওডন্টাল এন্ডোডন্টিক লিশন। (ঘ) পেরিকরোনাইটিস। (ঙ) একুউট নেকরোটাইজিং আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস (চ) ড্রাই সকেট (ছ) পেরিওডিক মাইগ্রেনাস নিউরালজিয়া (জ) হারপিস জসটার (ঝ) জায়ান্ট সেল আর্টেরাইটিস (ঞ) টিউমার (ট) সাইনোসাইটিস (ঠ) টেম্পেরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ডিজঅর্ডার। (ড) এটিপিক্যাল অডোনটালজিয়া (ঢ) এটিপিক্যাল ফেসিয়াল পেইন বা মুখের ব্যথা।

ডাল বা থ্রবিং ব্যথা স্থায়ী হতে পারে কয়েক ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত।

বার্নিং ব্যথা বা জ্বালাপোড়া ঃ-
(ক) বার্নিং মাউথ সিনড্রোম। (খ) পোস্ট হারপেটিক নিউরালজিয়া (গ) র‌্যামসে হান্ট সিনড্রোম। বার্নিং বা জ্বালাপোড়ার ব্যথা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারে। এ কারণেই মুখে বা জিহŸার জ্বালাপোড়ার রোগীরা খাবার গ্রহণে বা স্বাভাবিক অবস্থায় খুবই কষ্টের মধ্যে থাকেন। কোনো কোনো মুখের আলসারের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যথা দীর্ঘসময় স্থায়ী হতে পারে। তবে লম্বা সময় ধরে ব্যথা অর্থাৎ বছরব্যাপী চলমান ব্যথা ইঙ্গিত দেয় যে, ব্যথাটি সাইকোসোমাটিক অরিজিন হতে পারে।

অতএব, ব্যথার ধরণ এবং স্থায়ীত্ব দেখে আমরা যে কোনো একটি রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করতে পারি এবং রোগটি কতটুকু মারাত্মক সে সম্পর্কেও অনুমান করা যায়। চিকিৎসাও সেভাবে শুরু করা যায়।

ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন