Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিশোর অপরাধের নেপথ্যে সোশ্যাল মিডিয়া

| প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কিশোর অপরাধের প্রবণতা। পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে সম্ভাবনাময় এ উঠতি প্রজন্মের হত্যা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, চাঁদাবাজিসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়ানোর খবর। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১৫-১৭’র কোটায়। পুলিশ ও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তথ্য মতে, দেশব্যাপী প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক মামলা হচ্ছে শুধু কিশোর অপরাধ সংক্রান্ত। শুরুর দিকে এদের অনেকে ইভটিজিং বা এলাকাভিত্তিক বখাটেপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক সেবন ও বিক্রি, ধর্ষণ, অস্ত্র বহন এবং দলবেঁধে কারো উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার মত অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কিশোর- কিশোরীর সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তত একটি প্রোফাইল আছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কিশোর-কিশোরীরা অন্যদের সামনে নিজেকে আর নিজের ব্যক্তিত্বকে পরিবেশন করতে এবং অন্যের প্রতিক্রিয়া দেখতে খুব পছন্দ করে। আরো বেশি পছন্দ করে নিজের কৌতূহল ও আগ্রহ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অনুরাগীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে। কারণ এখানে কোন লজ্জা কিংবা ইতস্ততবোধ কাজ করেনা। আবার এই জগৎটাতে অভিভাবক কিংবা বড়দের নজরদারিও নেই তেমন একটা - যা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু এসব মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু বিকৃত ও রুচিহীন বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান, মিউজিক ভিডিও, পর্ণোগ্রাফি কিশোর ও যুবকদের খারাপ কাজে উদ্দীপনা তৈরির পাশাপাশি অনুকরণে উৎসাহ যোগায়। সোশ্যাল মিডিয়ার এ অপব্যবহার তাঁদের ব্রান্ড, ইমেজ ও গø্যামারের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে। এসবের অনুকরণে কিশোর-কিশোরীরা ভালোমন্দের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না। যা এই উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরীদের বড় বড় অপরাধের সাথে যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। আজকের কিশোর-কিশোরীরাই আমাদের শক্তি, দেশের অমূল্য সম্পদ, আগামীর কর্ণধার। দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের উপযুক্ত কাউন্সিলিং জরুরি, তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন যথেষ্ট নজরদারি। পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ
কুষ্টিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন