পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালে বাংলাদেশকে তাইওয়ানের মেডিকেল সামগ্রী উপহার এবং ৩ জন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় তা গ্রহণে বেজায় দুঃখ পেয়েছে বন্ধু রাষ্ট্র চীন। এ নিয়ে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের তরফে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে টেলিফোন করে মনঃকষ্টের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বেইজিং।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, বেইজিংয়ের উষ্মার জবাবে ঢাকার পক্ষ থেকে এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বরাবরই এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী। তাইওয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশ আলাদাভাবে কোনো সম্পর্ক করছে না। আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগও রাখছে না। ‘এক চীন নীতি’র প্রশ্নে ঢাকার যে দৃষ্টিভঙ্গি উপহার গ্রহণের ঘটনায় তাতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করার কারণ নেই।
তবে কেন প্রশ্নবিদ্ধ ওই উপহার সামগ্রী গ্রহণে এতো আয়োজন? তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলার সাথে উপহার গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাইওয়ানের উপহারের বিষয়টি তারা পরে জেনেছেন বলে দাবি করেছেন।
উপহার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘তাইওয়ানের কাছ থেকে উপহার সামগ্রী নেয়ার বিষয়টি আমরা জানতাম না। আমাদের বলা হয়েছিল, ওয়ালটন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিছু উপহার সামগ্রী দেবে। হেল্থ মিনিস্ট্রি এটার আয়োজক ছিল। এর বেশি আমাদের জানা ছিল না, আমরা জানতাম না যে, এখানে তাইওয়ানের কোনো ব্যাপার আছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৪শে আগস্ট তাইওয়ান এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল এক লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৬শ’ এন-৯৫ মাস্ক, ২০ হাজার কাপড়ের মাস্ক, ১০ হাজার ফেস শিল্ড, পিপিই, গগলস, দুই সেট ভেন্টিলেটর উপহার হিসেবে বাংলাদশকে প্রদান করে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি ইলেক্ট্রনিক্স প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপের উপহারগুলো হস্তান্তর করা হয়।
তাইপের আধা-সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টিএআইটিআরএ বিভিন্ন দেশে তাইওয়ানের ব্যবসা-বাণিজ্যের সমপ্রসারণে কাজ করে। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নুর উর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের পক্ষে ছিলেন- পরিচালক তিমথি ডবিøউ.ডি.সো ও ম্যানেজার রঞ্জন চক্রবর্তী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।