Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা ভাসছে বাতাসে এই ডিভাইস জানাবে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

শুধু করোনাভাইরাস নয়, বাতাসে ভেসে বেড়ায় আরও অনেক ব্যাকটিরিয়া ও টক্সিন। আর সেইসব এয়ারবোর্ন ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাসকে চিহ্নিত করার জন্য এবার নতুন ডিভাইস এনেছে রাশিয়া।
ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি করে সাড়া ফেলেছে মস্কো। আর এরই মধ্যে রাশিয়া করোনাভাইরাস খুঁজতে নয়া প্রযুক্তি এনে ফেলল। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডিভাইসের নাম ‘ডিটেক্টর বায়ো’। আর মস্কোতে এক বিশেষ প্রদর্শণীতে সেই ডিভাইস দেখানো হয়েছে। জেনিথ ক্যামেরা প্রস্তুতকারী সংস্থ কেএমজেড ফ্যাক্টরি এই ডিভাইস প্রদর্শন করেছে।
গামালেয়া ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি নামে যে সংস্থা রাশিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তাদের বড় ভ‚মিকা রয়েছে এই ডিভাইস তৈরিতে। এই যন্ত্রের ডেভেলপার টিমে রয়েছে ওই সংস্থা।
তবে এটি কোনও ছোট মেশিন নয়, দেখতে অনেকটা ফ্রিজের মত। এতে রয়েছে কেকের লেয়ারের মত একাধিক স্তর। আর সেগুলো হল আসলে এক একটা ছোটখাটো ল্যাবরেটরি। প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা টেস্ট হচ্ছে। আর সেইসব মিনি ল্যাবেই ধরা পড়বে করোনাভাইরাস। পরপর দুটি প্রক্রিয়ায় অ্যানালিসিস হয়, যাতে একেবারে সঠিক ফলাফল আসে।

প্রথম পর্যায়ে চারপাশের বাতাসের নমুনা পরীক্ষা হয়। ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতি জানা যায়। তবে ঠিক কোন প্যাথোজেন রয়েছে, সেটা প্রথমে ধরা পড়ে না। এরপর ফের আর একবার অ্যানালিসিস হয়। আর তাতে ধরা পড়ে ঠিক কোন ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া আছে। এতে ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

এমন নয়, যে এই প্রথম এমন কোনও যন্ত্র তৈরি হল। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ বছরের প্রচেষ্টায় এই যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। মূল রেল বা মেট্রো স্টেশনের মত পাবলিক প্লেসে ব্যবহারের জন্যই এই ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। সূত্র : স্পুটনিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ