ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সেন্টু সরকার (৩৫) নামে এক সৌদি প্রবাসীকে গলাকেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন পর নিহতের ফেসবুক বন্ধু শাকিল আহমেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শাকিল দু’জন মিলে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার দিবাত গভীর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাড়ি থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত রাব্বী হোসেন পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তার শাকিল আহমেদ (২১) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার মীরওয়ারিশপুর গ্রামের আবুল খায়ের চৌধুরীর ছেলে। সে ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি কসমেটিকস দোকানের কর্মচারী। পলাতক রাব্বী হোসেন (২৩) মানিকগঞ্জ সদর জেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির জানান, প্রবাসী হত্যার টনায় বিভিন্ন দিক থেকে তদন্তের বেরিয়ে আসে ফেসবুকে শাকিল ও রাব্বী নামে দুই যুবকের সাথে নিহত প্রবাসীর ঘনিষ্ঠ সমকামিতার সম্পর্কের তথ্য। এরই স‚ত্র ধরে সোমবার দিবাত রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে শাকিলকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে শাকিল জানায়, ফেসবুকে সে ও তার বন্ধু রাব্বীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সৌদি প্রবাসী সেন্টু সরকারের। কিন্তু আগে থেকেই রাব্বীর সাথে সমকামিতার গভীর সম্পর্কের কথা জানায় শাকিল। আর তাদের দুই জনের মাঝে প্রবাসী সেন্টু ফাঁটল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল জানতে পেরে হত্যার পরিকল্পণা করে তারা।

পরে শাকিল ও রাব্বী সপ্তাহখানেক আগে আশুলিয়ার মধুপুরে সেন্টু সরকারের বাড়িতে আসে। এরপর রাত্রিযাপন শেষে সেন্টুকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত; গত ২৫ আগস্ট আশুলিয়ার মধুপুরে খন্দকারপাড়া এলাকার নিজ নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষ থেকে সেন্টু সরকার নামে এক প্রবাসির গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাশের পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ভাঙ্গা ছুরি, বটি ও চাকু উদ্ধার করা হয়।