পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে বন্দি বাংলাদশের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের ব্যবসায়ের বিভিন্ন দিক সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উন্মোচিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার কুয়েতি গণমাধ্যম জানিয়েছে, কেবল চারটি কোম্পানির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগই নয়, কুয়েতে যে কোনো ধরনের ব্যবসার লাইসেন্স ছিল পাপুলের। প্রতিটি সেক্টরে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়ে পাপুল ব্যবসা করতেন।
উপসাগরীয় দেশটির পত্রিকা আল-কাবাস ও গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাক্টিং’ নামক লাইসেন্স ছিল শহিদ ইসলাম পাপুলের। যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারেন।
কুয়েতে পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ জুন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। অতপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তিন দফায় তার কারাভোগের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে বড় ধরনের নাড়া পড়ে গেছে কুয়েতের প্রশাসন আর রাজনৈতিক অঙ্গনে। একাধিক এমপি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। দেশে পাপুলের দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি তদন্ত কমিশন। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়েও জাতীয় সংসদে আবেদন এবং হাইকোটে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন কেন লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হবে না।
৩০-৩২ বছর আগে সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লক্ষীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে তিনি স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনের এমপি করেন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে সে দেশের আইনে তার পাঁচ থেকে ১৫ বছরের কারাদন্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবারের খবরে আল-কাবাস লিখেছে, এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কেবল সরকারি পরিচ্ছন্নতা কাজ নয়, বরং নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক কাজ থেকে শুরু করে কৃষি ও গাড়ি ভাড়ার কাজেরও সুযোগ ছিল। কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে ব্যবহার করে সরকারি কাজের আড়ালে পাপুল আইনি বাঁধা ছাড়াই বেশি বেশি শ্রমিক নিতে পারতেন বলে সূত্রের বরাতে লিখেছে পত্রিকাটি।
পত্রিকাটি আরও লিখেছে, স্বর্ণ ও কার্পেট ব্যবসায়ে যুক্ত হওয়ার কারণে অবৈধভাবে শ্রমিক আনার অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সন্দেহের মুখোমুখি হননি তিনি। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনার ক্ষেত্রেও পাপুলের অপরাধের ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছে আল-কাবাস। যেখানে ১০০ লোকের জায়গায় ৫০০ লোক নেয়ার অভিযোগের কথা বলা হয় সেখানে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার শ্রমিককে কুয়েতে নিয়েছেন পাপুল, যাতে ৫০ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের লেনদেন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।