পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষকদের প্রতিবাদের পরেও আসাম ও করিমগঞ্জ অঞ্চলে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করবে ভারত। ইতোমধ্যে ভারত সরকার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ কাজ ভারত সরকারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ। এ নিয়ে বেশ কয়েক বছর থেকেই ভারত সীমান্তে জরিপসহ আনুষাঙ্গিক কাজ চালায়। তবে কৃষকদের অভিযোগ, সীমান্তে কাঁটা তারের অভ্যন্তরে আবার এক স্তরের কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করা হলে তাদের জমি হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতন বাড়বে। এ ব্যাপারে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, ভারত শুধু জুড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী কিছু অরক্ষিত এলাকায় কাটা তারের বেড়া নির্মাণ করার জন্য আমাদের অনুমতি নিয়েছে। পুরো সীমান্ত কিংবা কাটা তারের বেড়ার ভেতরে আবার বেড়া দেয়ার ব্যাপারে পতাকা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের বেশির ভাগ দাবি তারা মেনে নিয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ’র গুলি করে মানুষ হত্যা প্রসঙ্গে বিজিবি তীব্র প্রতিবাদ জানালে, বিএসএফ অহেতুক গুলি করে মানুষ হত্যা করবে না বলে আশ্বস্ত্য করেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সীমান্তের গজুকাটা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়ার ভেতরে আবার এক স্তরের কাটা তারের বেড়া দেয়ার অর্থই হচ্ছে ভারত এ দেশের অমিংমাসিত হাজার হাজার একর জমি তাদের দখলে নিয়ে যাওয়া। কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করা হলে অনেক কৃষক তাদের জমি হারাবে। পাশাপাশি সীমান্তে ভারতীয়দের নির্যাতন অতীতের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
এদিকে গত বুধবার এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বিওপি সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে ইয়াকুবনগর কাস্টমস অফিসে ৫২ বিজিবি ও ১৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএসএফ সীমান্তে একসারি বিশিষ্ট কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ, বটুলী আইসিপি’র বিপরীতে বেইলী ব্রিজের পরিবর্তে বক্স কালভার্ট এবং সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা স্বাক্ষর করেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও অবৈধ সীমান্ত পারাপার, নারী ও শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন, মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ এবং গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ এবং বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট কুলদীপ রায় শর্মা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।