প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের নৃত্যাঙ্গনে নিয়মিত ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ফারজানা খান ইলা। তবে সংসার, স্বামী ও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নৃত্য থেকে দূরে ছিলেন। দুই সন্তান টাপুরটুপুর ও আরশকে নিয়েই সময় কেটেছে তার। তারা এখন কিছুটা বড় হয়েছে। তাই আবারো কাজে ফেরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ইলা খান। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না আমি। তবে মাঝে মাঝে টিভি পর্দায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান দেখেছি। মুগ্ধ হয়েছি মৌ আপু, নাদিয়া আর মোফাজ্জল নামের একটি ছেলের নাচে। তখন হতো মঞ্চে উঠি। কিন্তু সংসার জীবনের ব্যস্ততার কারণে করা হয়ে উঠেনি। আবার এমন দেখা গেছে অনেক কাজেরও প্রস্তাব এসেছে, সিনেমার কোরিগ্রাফিরও প্রস্তাব এসেছে। করা হয়ে উঠেনি। এখন মানসিকভাবে বেশ খানিকটা প্রস্তুত আমি। তবে মানসম্পন্ন কাজ করতে চাই। বছরে ভালো দু’একটি কাজ করতে চাই। শুধু গয়না আর পোশাকের ঝলকানিতেই নাচ শেষ হয়ে যায়, এমন নাচ করতে চাইনা। যেহেতু নাচে আমার দেশে বিদেশে শিক্ষা আছে, তাই একটু ভালোভাবে নিজেকে কাজে লাগাতে চাই। আগামী প্রজন্মের জন্য নিজেকে নিবেদিত করে কাজ করে যেতে চাই।’ ইলা জানান, নাচের জন্য তিনি দিল্লীতে ছিলেন ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় ২০০৩ সাল পর্যন্ত। সেখানে তিনি প্রতিথযশা নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার মাধবী মুদগাল, রানী খানাম, বিমলা ঠাকুরের কাছে নাচে তালিম নিয়ে নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক মানের নৃত্যশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। দেশে ফেরার পর তিনি রাইজা খানম ঝুনু, মুনমুন আহমেদ, সাজু আহমেদ, দীপা খন্দকার (নৃত্যশিল্পী)’র কাছে নাচে তালিম নিয়েছেন দীর্ঘদিন। মূলকথা নৃত্যে নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে যা যা করনীয় সবই তিনি করেছেন। বাচসাস, সিজেএফবি’সহ দেশের এমন কোন সংগঠন নেই যাদের অনুষ্ঠানের ইলা খানের অংশগ্রহন ছিলোনা নৃত্যশিল্পী কিংবা কোরিওগ্রাফার হিসেবে। এফআই মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সিনেমাতেও কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন ইলা খান। ছোট্টবেলায় প্রথম তিনি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। এরপর বহু টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তারিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘ভেলা’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। এই ‘ভেলা’তে অভিনয় করেও ইলা খান বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। ইলা খানের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে শুধুমাত্র নৃত্যদিয়েই স্টার ড্যান্সার হয়েছেন ফারহানা চৌধুরী বেবী। কারণ আর যারা নৃত্যশিল্পী আছেন তারা সবাই নাচের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন কিংবা অভিনয় করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।