বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আজ ৩য় বছর। ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট মিয়ানমারের সেনা নির্যাতনে আরাকান রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ পালিয়ে আসে।
উখিয়া- টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩য় ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বড় আকারে সমাবেশ আয়োজন, মসজিদে মসজিদে দোয়া, ব্যানার ফেস্টুন, টি শার্ট ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক আকারে দিনটিকে স্মরণ করা হয়েছিল এ বছর এরকম কোন কর্মসূচি দেয়নি রোহিঙ্গারা।
এ বছর সকাল-সন্ধ্যা ঘরে থেকে দিনটি স্মরণ করবেন তারা। করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি না পাওয়া এমন কর্মসূচির প্রধান কারণ।
তবে রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইট ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি (এআরএসপিএস) এর ভাষ্য হচ্ছে, অনুমতি না পাওয়ার চেয়েও এমন মৌনতার মাধ্যমেই তারা বোঝাতে চান ‘ঘরে ফিরে যাওয়াই প্রধান রক্ষা’।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরনের জনসভার ওপরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। এতে রোহিঙ্গা শিবিরেও সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এছাড়াও গতবছর অনুমতি ছাড়া বিশাল শোডাউন করায় রোহিঙ্গা শিবিরে কোনও কর্মসূচিতের এবছর যে অনুমতি পাওয়া যাবে না সেটি অনুমিতই ছিল।
তাই ঘরে থাকার মতো আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে এআরএসপিএস ভাইস চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম জানান, এবার আমরা বড় কোনও আয়োজন করবো না ঠিক।
তবে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হচ্ছে সকাল ৬টা হতে বিকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রেখে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের নিজ নিজ রুমে অবস্থান নেবে।
কেউ রেশন নেবে না, অফিস করবে না । বাড়িতে অবস্থান নেবে। এর মাধ্যমে আমরা ঘরে ফিরে যাওয়াকেই প্রধান রক্ষা হিসেবে বোঝাতে চেষ্টা করছি।
এ সংক্রান্ত চারটি দাবি আমরা এবার তুলে ধরেছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ হতে লিখিত ভাবে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বরাবরে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।