Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আগামী মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদফতর ও মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উন্নত খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত জরুরি খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য-উদ্বৃত্ত দেশ। আমরা বিশ্বের মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে। ছোট এই আয়তনের দেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এই চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে সরকার উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় মানুষ ভালোভাবে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ধান, চাল সংরক্ষণ করতে পারে এজন্যই সরকার ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি খাদ্য গুদাম গড়ে তোলা হবে। এছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগপ্রবণ ও উপক‚লীয় অঞ্চলে ৫ লাখ পারিবারিক সাইলো ও বিতরণ করা হবে। বর্তমানে ২০ লাখ টন খাদ্য শস্যে মজুদ করার গুদাম আছে। আগামী ২০১৮ সালে এটি ২৫ লাখ টন এবং ২০২৫ সালে ৩৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন খাদ্য শিক্ষা যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই অর্জনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরা দেখা দিচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উন্নত খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত জরুরি খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্যÑদুর্যোগ-উত্তর জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকারি এবং পারিবারিক পর্যায়ে কার্যকর খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য নির্বাচিত ৮টি সাইটে প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন খাদ্য শস্যের মজুদ গড়ে তোলা হবে। এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে। এ ছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগ প্রবণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ লাখ পারিবারিক সাইলোও বিতরণ করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, খাদ্য সচিব এএম বদরুদ্দোজা, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এ হালিম চৌধুরী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহপরিচালক ফয়েজ আহমদ, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগারের প্রকল্প পরিচালক গাজী উর রহমান, মদিনা গ্রপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোলায়মান সেলিম, পরিচালক এরফান সেলিম, বিশ্বব্যাংক গ্রæপের টাস্ক টিম লিডার ম্যানিয়েভেল সেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ