Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী মাস থেকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ শিথিল করবে জার্মানি

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানি শরণার্থী গ্রহণের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাইজিয়ার জানিয়েছেন, শরণার্থী হ্রাসের ব্যাপারে তারা একটি ধারণা পেয়েছে সে দেশে এখন শরণার্থী প্রবেশ বেশ হ্রাস পেয়েছে। আর এই অবস্থা বজায় থাকলে মে মাসের দিকে সে দেশে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত অবরুদ্ধ রাখা হবে না, বরং সল্প সংখ্যক শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া হবে। কারণ নতুন করে সীমান্ত উন্মোচনের আশঙ্কায় সীমান্ত কড়াকড়ি হ্রাস করা হবে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডে মাইজিয়ারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রব্য গত মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার ওআরএফ চ্যানেল থেকে প্রচার করা হয়েছে। চ্যানেল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যদি জার্মানিতে অভিবাসী প্রবেশের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে তা হলে আগামী ১২ মে পর্যন্ত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কড়াকাড়ি পরিহার করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাইজিয়ার আরো বলেছেন, জার্মানিতে অভিবাসী প্রবেশ করে অস্টিয়ার সীমান্ত দিয়ে। এক সময়ে অস্টিয়ার সীমান্ত হয়ে জার্মানিতে হাজার হাজার অভিবাসী প্রতি দিনেই প্রবেশ করতো। ধারণা করা যায়, গত মার্চ মাসে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা দিনে খুব হলে ১ শত ৪০ জনের বেশি ছিল না। অতি সম্প্রতি অস্ট্রিয়া বলকান সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এক সময়ে এই সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধনী দেশগুলোতে প্রবেশ করেছিল, আর গ্রিস সীমান্ত দিয়ে জার্মানি ও সুইডেনে প্রবেশ করতো শরণার্থীরা। গত ২০১৫ সালে জার্মানিতে কমপক্ষে ১০ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করে। এইসব শরণার্থী ছিল মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার অধিবাসী। এদিকে চ্যান্সেলর মার্কেল সীমান্ত খুলে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। অবশ্য এতে তার দেশের এক বড় অংশের মানুষ তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে ও বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন জালিয়াত চক্রের লোকজনকে ধরার জন্য একটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিল এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ইউনিভার্সিটি অব নর্দার্ন নিউজার্সি নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছদ্মবেশে ছিলেন এফবিআই এজেন্টরা। চার বছর ধরে চালানো এই অভিযানের শেষে একুশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযুক্তরা জানতেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টির আসলে অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এটা যে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের একটি ফাঁদ সেটি তারা ধারণাও করতে পারেনি। তারা এক হাজারেরও বেশি বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। এ সমস্ত বিদেশিরা শিক্ষার্থী ভিসায় আমেরিকায় ঢুকে দেশটিতে থেকে যেতে চাইছিল। যেসব ছাত্রছাত্রীর নাম উঠে এসেছে তাদের অধিকাংশই চীন এবং ভারত থেকে আসা। এফবিআই এজেন্টরা একটি ভুয়া ওয়েব সাইট তৈরি করে সেখানে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিল। এভাবেই সন্দেহভাজনদের সাথে যোগাযোগ তৈরি করে তারা। বছরের পর বছর ধরে এভাবে অর্থের বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বিবিসি, রযটার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আগামী মাস থেকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ শিথিল করবে জার্মানি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ