পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঢাকা সফর করছেন। গতকাল দিনভর তিনি ঢাকায় ব্যস্ত কর্মসূচীতে কাটিয়েছেন। তবে নিঃশব্দে। সন্ধ্যায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সরকার প্রধানের সরকারী বাসভবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ওই সাক্ষাৎ-বৈঠকটি হয়। সেই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্রিফিং হয়নি। এতে করে একেক সূত্র থেকে একেক রকমের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দেখা করার বিষয় নিয়ে একটি খবর ছাপা হলো, যার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই করোনা পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। বিদেশিদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
একই দিন ভারতীয় হাইকমিশন এক বার্তায় জানায়, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে শ্রিংলার এই সফর। শ্রিংলার হঠাৎ ঢাকা সফর নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আকস্মিক না এটা। যেহেতু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ভারত, সুতরাং ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে, বিভিন্ন পর্যায়ে প্রচুর ইনটারাকশান আছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় মিডিয়া বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ দূত হিসাবে শ্রিংলা একটি বিশেষ বার্তা হস্তান্তর করেছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার সিলেটে বলেছেন, অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব থাকায় সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ কীভাবে সহজে পেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতেই দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে এসেছেন। আজ বুধবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয় মাঠে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যোরাল উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ঢাকার একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হস্তান্তর হয়েছে, কিন্তু তা কাগজে নয়, মৌখিক। এ-ও বলা হচ্ছে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ, মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ নাকি আলোচনায় স্থান পেয়েছে। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হলো হাই প্রোফাইল বৈঠক প্রশ্নে ঢাকার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। সে কারণেই যতো বিভ্রান্তি। একটি সুত্র জানিয়েছে, খুব শিগগির পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। আকাশপথে ব্যবসায়ী ও রোগীদের চলাচলের নতুন প্রস্তাবও দিয়েছে দিল্লি। সব মিলে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বার্তাই স্পষ্ট করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব।
মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের স্বল্প সংখ্যক প্রতিনিধিকে ব্রিফ করা হয়েছে বিদেশ সচিবের আলোচনার বিষয়ে। বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় ভারত। দিল্লির ঢাকার সঙ্গে মিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মত কঠিন চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী ভারত।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে আলোচ্য বিষয় গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।