গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকার বিষয়টি ২০১৬ সালে আদালত রায় দেয়ার পরে একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আবারো লিগ্যাল নোটিশ করায় তীব্র নিন্দা ও পতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন, সংবিধানকে পরিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষকরণের নামে আবারও কতিপয় উগ্রবাদী ও নাস্তিক্যবাদী কুচক্রিমহল বাংলাদেশ সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। একটি সাংবিধানিক ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা বারবার উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গুটি কয়েক উগ্রহিন্দু ও নাস্তিক্যবাদীর প্রস্তাবে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়া হলে এদেশের ৯২ ভাগ মুসলিম জনতা গর্জে উঠবে এবং আন্দোলনের দাবানল সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
আজ মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক জরুরি বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সানাউল্লাহ ও মুফতি আফম আকরাম হুসাইন।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, উগ্রহিন্দু ও নাস্তিক্যবাদীরা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ ও বিসমিল্লাহ শব্দ থাকুক তাও সহ্য করতে পারছে না। অথচ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬৬ সালের ৬ দফা, ৬৯ সালের ১১ দফা ও গণঅভ্যুত্থান, ৭০ সালের নির্বাচন এবং ৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। তাই ঈমান, ইসলাম ও দেশ রক্ষায় ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রহিন্দু ও নাস্তিক্যবাদীদের চক্রান্তকে যেকোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।