পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগস্ট মাস এলেই দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে আওয়ামী লীগ শঙ্কায় থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয় রয়েছে।
তারা সুযোগ খুঁজছে। আগস্ট এলেই আমাদের শঙ্কা বাড়ে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আর কোনও ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট এ দেশে যেন না আসে। না আসে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা কিংবা হলি আর্টিজানের ঘটনা। চাই না রমনা বটম‚লের মতো নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয়। সরকার জঙ্গিগোষ্ঠীর বিষদাঁত ভেঙে দিলেও গোপনে গোপনে তাদের এখনও সক্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তারা সুযোগ খুঁজছে। আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলায় কোনও ষড়যন্ত্রকারীর ঠাঁই নেই। প্রশ্রয় নেই কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এবং সা¤প্রদায়িক অপশক্তির। সব ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
১৫ আগস্ট জাতির জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিক‚লতার স্রোত মাড়িয়ে, ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর রক্তের উত্তরাধিকার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসেন আরেক বাংলাদেশে। শুরু করেন দল গোছানোর কাজ। গড়ে তোলেন ঐক্য। স্বজন হারানোর বেদনাকে তিনি শক্তিতে রূপান্তর করেন। মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার মাঝে খুঁজে নেন প্রিয়জন হারানোর কষ্ট। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। জাতির কলঙ্কমোচন হয়েছে। তিনি আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র, সা¤প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই। এখনও তারা সেই অপচর্চা অব্যাহত রেখেছে। নির্লজ্জভাবে তারা গুম-খুনের কথা বলে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, তারা কি অপারেশন ক্লিন হার্ট পরিচালনা করেনি? ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় ৯৭ জনকে হত্যা করেছিল। অপারেশন ক্লিন হার্টের হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি দিয়েছিল। অথচ আজ মানবাধিকার আর হত্যার বিচারের কথা বলে। গুম-খুনের কথা বলে। শেখ হাসিনা কোনও খুনিকে ইনডেমনিটি দিয়ে বাঁচাননি, খুনকে জায়েজ করেননি। হত্যা-সন্ত্রাস-ভয়ের রাজনীতির যাদের ঐতিহ্য, তাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নলে।
৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলার জন্য বিএনপি সরকারকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি, নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, জনবল ও বোমা সরবরাহ এতসব একদিনে গড়ে ওঠেনি। তবে রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন নীরব ছিল কেন? নিশ্চয়ই সরকার প্রশ্রয়দাতা আর পৃষ্ঠপোষক ছিল। না হলে কীভাবে এ দীর্ঘ প্রস্তুতি জঙ্গিরা গ্রহণ করলো? এ দেশের রাজনীতিতে তেমনি ১৫ আগস্টের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকান্ডের সূচনা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আবার ২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলাও সেই আগস্ট মাসে। তাই বলবো, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট, ২১ আগস্ট সবই একস‚ত্রে গাঁথা। এসব হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। এসব হত্যা, সন্ত্রাসও ষড়যন্ত্রের অংশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমূখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।