Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বেলারুশে ন্যাটো হামলা করলে জবাব দেবে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২০, ৬:৪০ পিএম

বেলারুশকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে ন্যাটো ও রাশিয়া। বেলারুশে যদি ন্যাটো হামলা চালায় তা হলে তাদের উপরে তৎক্ষণাৎ পালটা হামলা চালাবে রুশ বাহিনী। রোববার মস্কোর এই ঘোষণায় নতুন করে সংঘাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসেই। আগস্টের ৯ তারিখ বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ। বিরোধী দলের সমর্থকদের ঢল নামে রাজধানী মিন্স্ককের রাস্তায়। এই নির্বাচনের ফল মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর উপর পুনর্নিবাচনের জন্য চাপ বাড়াতে শুরু করে ন্যাটো গোষ্ঠী।

বিপদ বুঝে শনিবার ‘বন্ধু’ তথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানান লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের সীমানা থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ন্যাটো বলেও অভিযোগ জানান তিনি। শুধু তাই নয়, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই লুকাশেঙ্কোকে আশ্বস্ত করে রুশ প্রেসিডেন্ট সাফ জানান, বেলারুশে কেউ হামলা চালালে তা প্রতিহত করতে সেনা পাঠাবে রাশিয়া।

এদিকে, বেলারুশ সীমান্তে ফৌজ মোতায়েনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ন্যাটো। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ২০১৪ সাল থেকেই আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা ও জার্মানির নেতৃত্বে বাল্টিক দেশগুলিতে চারটি বাহিনী বা ব্যাটল গ্রুপ মোতায়েন করেছে ন্যাটো। কারণ ওই বছরই ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া প্রদেশ ছিনিয়ে নেয় রাশিয়া। ফলে রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মস্কোর আগ্রাসী মনোভাবের কথা মাথায় রেখেই তাই ফৌজ মোতায়েন করেছিল ন্যাটো। যদিও রাশিয়ার হুমকির পর বেলারুশে হামলা চালিয়ে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি জটিল করবে না ন্যাটো বলেই মনে করছেন অনেকে। সূত্র: সিএনবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Ohhhhh ১৭ আগস্ট, ২০২০, ৯:০৭ পিএম says : 0
    Russia will never fire European countries, Our most enemies are America, British, France, China, Philippines, Denmark, Australia, Canada, Austria, Poland, Nederland and New enemy is New Zealand. Stop communication with them. We read earth!!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shahid ১৭ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৮ পিএম says : 0
    পরাশক্তিদের লড়াইয়ে বলির শিকার হয় দুর্বল দেশগুলো।
    Total Reply(0) Reply
  • তোফাজ্জল হোসেন ১৭ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৯ পিএম says : 0
    রাশিয়াকে আমি সমর্থন করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ