নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তারকা খেলোয়াড়দের ভিড়, নামেভারে অনেকখানি এগিয়ে থাকায় হিসেব পক্ষে ছিল ইংলিশ ক্লাবেরই। কিন্তু মাঠের খেলায় মিলেছে ভিন্ন ছবি। সিটিকে স্তব্ধ করে শেষ চারে উঠেছে লিঁও। ফরাসি ক্লাবটির কোচ রুডি গার্সিয়ার মনে এখন ডানা মেলছে আরও বড় স্বপ্ন।
গতপরশু রাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে উঠেছে লিঁও। বৃহস্পতিবার বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামবে তারা। এমন সাফল্যের পর ম্যাচ শেষে গার্সিয়া স্বপ্নের সীমানা বড় করে বলেছেন, সীমা ছাড়াতে চান তারা।
সেমিতে যাদের বিপক্ষে খেলতে হবে সেই জার্মান ক্লাব বায়ার্ন বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। চ্যালেঞ্জটা যে কত কঠিন জানা আছে গার্সিয়ার, কিন্তু কোন কিছুই অসম্ভব মনে হচ্ছে না তার, ‘আমরা জানি সামনে কে আছে। আমরা জুভেন্টাসকে বিদায় করেছি, ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করলাম। আমরাও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দাবিদার। বায়ার্নও একই রকম। যৌক্তিকভাবেই খেলোয়াড়রা আশা করে আমরা আরেক ধাপে যেতে পারব। সেজন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ফরাসি লিগ ওয়ানে সাত নম্বরে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল লিঁও। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিন্ন মেজাজে দেখা যাচ্ছে তাদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত ২৩ মৌসুম থেকেই নিয়মিত খেলছে তারা। কিন্তু কখনই ছাড়াতে পারেনি সেমিফাইনালের গন্ডি। ২০১০ সালে শেষ চারে বায়ার্নের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। এবারও ফাইনালে যাওয়ার পথে লিঁওর বাধা বায়ার্ন। এবার তা কাটাতে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী দেখছেন লিঁও কোচ, ‘যখন কোন দল সেমিতে উঠে, বুঝতে হবে ফাইনালে যাওয়ার সকল যোগ্যতা আছে তাদের।’
এদিকে, চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার অন্যতম দাবীদার ছিল ইংলিশ জায়ান্ট সিটি। প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু আগের দিন কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে পা হড়কায় দলটি। তাও অপেক্ষাকৃত দুর্বল অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে। আর এমন অনাকাক্সিক্ষত হারের দুঃখ ভুলতে পারছেন না দলের সেরা তারকা কেভিন ডি ব্রুইন। তাই মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান এ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
লিসবনে আগের দিন লিঁওর কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় সিটিজেনরা। আসরের অন্যতম ফেভারিট দলটি অবশ্য শুরুটা প্রত্যাশামতো করতে পারেনি। ২৪তম মিনিটেই পিছিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ডি ব্রুইনের গোলে সমতায় ফিরেছিল দলটি। তবে এরপর মৌসা দেম্বেলের জোড়া গোলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। আর এমন হার মেনে নিতে পারছেন না এ বেলজিয়ান তারকা। তাই হারের কষ্ট ভুলতে এখন স্ত্রী ও সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চাইছেন ডি ব্রুইন, ‘আমি বাড়ি ফিরতে চাই কারণ আমার স্ত্রী প্রত্যাশা করছে। আমার কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে।’
প্রথমার্ধে ভালো না খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফুটবল খেলেছিল সিটি। কিন্তু তারপরও এ অর্ধের দুটি গোল সব শেষ করে দেয় তাদের, ‘এটা ভিন্ন একটি বছর, একই জিনিস। প্রথমার্ধটা খুব ভালো ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সত্যি ভালো খেলেছি। ১-১ এ সমতায় ফিরেছি এবং অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। কিন্তু এরপর ২-১ এবং ৩-১ হয়ে গেল।’ তবে এরপরও সুযোগ ছিল তাদের। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর খালি পোস্টে গোল দেওয়ার সহজ একটু সুযোগ পেয়েছিলেন রহিম স্টার্লিং। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তার শট বারপোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এমন হারের পর এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেন এ বেলজিয়ান, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলে আমরা তাদের চাপে রেখেছিলাম। আমরা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলাম। এমনকি ২-১ এর সময় রাস (রহিম স্টার্লিং) যদি ওই গোলটা করতো তাহলে ২-২ হতো। এরপর তারা ৩-১ ব্যবধান করে এবং ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। লিঁও ওইভাবে করেনি তবে আমাদের এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।