মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দেশটি চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই দ্রুত কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দেওয়ায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলে এ টিকা নিরাপদ কিনা তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।
বুধবার রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমাদের বিদেশি সহকর্মীরা এ টিকাকে প্রতিযোগিতার দিক থেকে রাশিয়ার ফায়দা তোলার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন; আর এমন সব মত প্রকাশের চেষ্টা করছেন, যেগুলো পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর এ ভ্যাকসিন খুব শিগগিরই সহজলভ্য হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে এর প্রথম প্যাকেজ। প্রথমে এটি পাবেন চিকিৎসকরা।’
মানুষের ওপর দুই মাসেরও কম সময় পরীক্ষা চালানোর পর মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের বানানো ওই ভ্যাকসিন মঙ্গলবার অনুমোদন দেয়ার কথা জানান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সঙ্গে সঙ্গেই তাড়াহুড়োর এ ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। আরও অনেক দেশই টিকাটি নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। যদিও কিছু ভারত, কাজাকস্তানসহ ২০টি দেশ ভ্যাকসিনটি নিয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ফিলিপাইন রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। তারা রুশ ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে এর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নেয়া এবং গবেষণামূলক তথ্য পাওয়া নিয়ে আলোচনারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার কোভিড-১৯ টিকা পরীক্ষা করে দেখবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা টিকাটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। বুধবার জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি ঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।’ মানুষের ওপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়াটা বিপজ্জনক হতে পারে বলে মত তার। কারণ, আগেভাগেই ভ্যাকসিন প্রয়োগে ভুল ফল এলে ভ্যাকসিনটির গ্রহণযোগ্যতা আর নাও থাকতে পারে।
তবে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকোর দাবি, অনুমোদন পাওয়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর ও নিরাপদ। কিন্তু ইউরোপের ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল সেন্টারের এক গবেষক বলছেন, এত আগেই টিকায় রোগ থেকে আরগ্য নিয়ে এমন আস্থা খুবই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, তিনি বলেন, ‘তাদের (রাশিয়ার) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পদ্ধতি কিংবা ফল সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজারও প্রথম হওয়া নয়, বরং ভ্যাকসিনটি যাতে বিশ্বের মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর হয় তার ওপরই গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে এ উদ্বেগ এবং সমালোচনার মধ্যেই মস্কোভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্গানাইজেশন (অ্যাক্টো) স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়ে বলেছে টিকাটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এর অনুমোদন পিছিয়ে দিতে। অ্যাক্টোর নির্বাহী পরিচালক সেভেৎলানা জাভিদোভা রাশিয়ার একটি সাইটে বলেছেন, ভ্যাকসিনটি দুই ধাপের পরীক্ষার পরই গণহারে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এইটুকু পরীক্ষার ভিত্তিতে টিকার কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ইউএস ফার্মা জায়ান্ট ফাইজারের সাথে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক বলেছে যে, চলমান পরীক্ষা সফল হলে অক্টোবরের প্রথম দিকে জরুরি অনুমোদনের জন্য তারা আবেদন জানানোর পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইভনিং স্টানার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।