মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাস্ক দিয়ে যায় চেনা! নিজেরই ফেস প্রিন্টেড মাস্কে এ ভাবেই বৈচিত্র্য এনেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম দাস। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সেই ছবি ভাইরাল। কেউ বলছেন মাস্ক অফ দ্য ইয়ার। নিন্দাও করছেন কেউ কেউ। মন্ত্রী তবুও নির্বিকার। -এই সময়
করোনা মহামারিতে মাস্ক আপনার-আমার রাস্তায় বেরোনোর ছাড়পত্র। একান্ত অনিচ্ছাতেও শুধুমাত্র মোটা টাকা ফাইনের ভয়ে মাস্ক পরে বেরোতে কেউ কেউ বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকেই অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যা ইঙ্গিত, কোভিড-পরবর্তী সময়েও মাস্ক জীবনের স্বাভাবিক সঙ্গী হয়ে উঠতে চলেছে। বাজারে ভ্যাকসিন চলে এলে কী হবে, জানা নেই। তবে, এই মুখের মাস্ককে নয়া জীবনের অঙ্গ হিসেবে ধরে নিয়েই বাজার ধরতে তত্পর হয়ে উঠেছেন ডিজাইনাররা। বাজারচলতি সস্তার মাস্কের কথা ছেড়ে দিন। একটু খরচ করলে, বৈচিত্র্যেভরা মাস্ক আপনি পেয়ে যাবেন। যেমন গুড়, তেমন মিষ্টি। যেমন খরচ করবেন, তেমনই মাস্ক পাবেন।
করোনার সৌজন্যে খুলে যাওয়া মাস্কের এই বাজার ধরতে ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে হিরে-জহরতের কারবারিরাও নেমে পড়েছেন। শুনে ভ্রু-যুগল কুঞ্চিত হলেও এটা ঘটনা বাজারে ১১ কোটি টাকা দামেরও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। হ্য়াঁ, ঠিকই পড়ছেন। যদিও, সেই মাস্ক ভারতের কেউ নয়, বানিয়েছেন ইজরায়েলের এক নামী গয়নার কারবারি। সোনা ও হিরের কারুকাজে তৈরি মাস্কের দাম ১১ কোটি। বর্তমান প্রেক্ষিতে ফেসমাস্ক যে নয়া শিল্প হয়ে উঠেছে, তা বলতে দ্বিধা নেই। এর মধ্যেই লোকজন এমন মাস্ক খুঁজছেন, যা তিনি শুধু একাই পরবেন। দ্বিতীয় কেউ নয়। তেমনই একটি ট্রেন্ড নিজের মুখবদন ছাপানো বা ফেস প্রিন্টেড মাস্ক। বিভিন্ন ফোটো স্টুডিয়োগুলো এ জন্য এগিয়ে আসছে। চাহিদা মতো তাঁরাই বানিয়ে দিচ্ছেন ফেস প্রিন্টেড মাস্ক। ফেসমাস্কে মুখ ঢাকা থাকলে অনেককেই চেনা সম্ভব নয়। আবার মাস্ক সরিয়ে যে নিজেকে সামনে আনবেন, তাতেও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে।
এসব সাতপাঁচ ভেবেই ট্রেন্ড হয়েছে নিজের ফেস প্রিন্টেড মাস্ক। মুখের যে অংশ মাস্কে চাপা থাকে, সেই অংশই মাস্কে ছাপিয়ে দিচ্ছে স্টুডিয়োগুলি। ফলে, মাস্ক পরেও আপনাকে চিনতে অসুবিধে হবে না। মধ্যপ্রদেশের যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নরোত্তম মিশ্র, একইরকম ফেস প্রিন্টেড মাস্ক পরে অম্লান বদনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাইরে বেরোনোর সময় মন্ত্রীর মুখে মাস্ক রয়েছে। কিন্তু সেই মাস্কের কারণে মুখের যে অংশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে, সেই অংশের ছবিই ওই মাস্কে আঁকা। আর নরোত্তম মিশ্রর সেই মাস্কের ছবিই এখন হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ মন্ত্রীকে দেখে হাসি-তামাশা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলডও হয়েছেন। বাহবার পাশাপাশি নিন্দুকের সমালোচনাও হজম করতে হয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
এএনআইয়ের ন্যাশনাল ব্যুরো চিফ নবীন কাপুর মন্ত্রীর ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন। সেইসঙ্গে লিখেছেন: “Madhya Pradesh minister Narottam Mishra’s awesome experiment.” পোস্টের নীচে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘বছরের সেরা মাস্ক।’ আবার কারও কারও মতে, ‘মর্যাদাহানিকর’। একজন মন্ত্রী হিসেবে এমন মাস্ক পরে তিনি ঠিক করেননি। কেউ বলেছেন, ভালো পদক্ষেপ। প্রত্যেকের এ ধরনের মাল্ক পরে রাস্তায় বেরোনো উচিত। সোজা কথায়, মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যে যা বলছে বলুক, প্রিয় মন্ত্রীর সদাহাস্যময় মুখ দেখে খুশি দলীয় কর্মীরা। মুখোশের আড়াল থেকে যদি এ ভাবে মুখ দেখানো যায়, তবে ক্ষতি কী!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।