মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে পেছনে ফেলে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া। রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অনুমোদিত ভ্যাকসিনটি প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে পুতিনের মেয়ের দেহে।
রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী পুতিন। গতকাল টেলিভিশন বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে রাশিয়াই প্রথম ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।’ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওই ভ্যাকসিন ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। রাশিয়ার ওই ভ্যাকসিনটির নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুব অল্প সময়েই বাজারে আনার জন্য শুরু হয়ে যাবে বড় মাত্রার উৎপাদন।’ দেশ তথা বিশ্ববাসীর শঙ্কা দূর করতে জানালেন, তার দুই কন্যার মধ্যে একজনকে সেই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং সে সুস্থ আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুতিনের বড় মেয়ে মারিয়া ভার্নটোসভাকেই প্রথম এ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টিটিউট এবং রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনটি। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘স্পুটনিক’ জানিয়েছে, গত ১৮ জুন ৩৮ জনের উপর ওই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। এর পরের ধাপের পরীক্ষা চলে ১৫-২০ জুলাই। তাদের সকলের মধ্যেই করোনা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা জন্মায় বলেও রুশ বিজ্ঞানীদের দাবি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষায়, প্রতিটি বর্গে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ওই ভ্যাকসিন জনসাধারণকে দেয়া হতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশ, অন্তত ৬০ শতাংশ রুশ নাগরিকের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন দিতে হবে। রাশিয়ার পরিকল্পনা এ বছর অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাজারে আনার। এ মুহূর্তে রুশ প্রশাসন চাইছে, রিস্ক ওয়ার্কার বলয়ে যারা রয়েছেন অর্থাৎ, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকর্মীদের এ মাসেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। অক্টোবর থেকে ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে গণহারে।
রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাস্কো জানিয়েছেন, গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বিন্নোফার্ম, এ দুটি জায়গায় করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দু’ধাপে ভ্যাকসিনটি নিতে হবে’। তার মতে, এর ফলে করোনা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা শরীরে দু’বছর পর্যন্ত থাকবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ওই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) বিদেশে বিনিয়োগ করবে। ইতোমধ্যেই ২০টি দেশ থেকে কোটি কোটি ভ্যাকসিনের প্রি-অর্ডার এসে গেছে তাদের কাছে। অর্ডারের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটির কাছাকাছি- এমনটাই দাবি রাশিয়ার।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য বিশ্বজুড়ে অনেকগুলো উদ্যোগ চলছে। তবে, রাশিয়াই প্রথম দেশ যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিবন্ধন করল। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া যে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলবে তা কিছু দিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে সাফল্য পেয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। আগস্টে সাধারণের জন্য ওই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন গবেষণা নিয়ে উৎসুক ছিল গোটা বিশ্বই। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।