মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরের কাছে মোটজায় ইসরায়েলের এক অলংকার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ইভেল কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে এ মাস্কটি। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি করোনাভাইরাস মাস্ক বলে এখন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। স্বর্ণ ও হীরা খচিত এ মাস্কের দাম ১৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি। সংবাদ সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
মাস্কের নকশাবিদ ও অলংকার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ইভেলের মালিক আইজ্যাক লেভি জানান, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ১৮ ক্যারেটের সাদা স্বর্ণের মাস্কটিতে থাকছে তিন হাজার ৬০০ সাদা ও কালো হীরা। আর মাস্কের যে মূল কাজ, সে জন্য থাকছে উচ্চমানের এন৯৯ ফিল্টার ব্যবস্থা।
মাস্কটি সম্পর্কে লেভি বলেন, ‘ক্রেতার দুটি দাবি ছিল। এক. মাস্কটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ তৈরি করে শেষ করতে হবে। দুই. এটি হতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি। শেষ শর্তটি যে পূরণ করা সবচেয়ে সহজ ছিল।’
মাস্কটির ক্রেতা একজন চীনা ব্যবসায়ী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এ ছাড়া ক্রেতার আর কোনো পরিচয় প্রকাশ করেননি আইজ্যাক লেভি।
বিখ্যাত এই নকশাবিদ আরও বলেন, ‘অর্থ দিয়ে হয়ত সবকিছু কেনা যায় না। তবে দাম দিয়ে কেউ যদি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্ক কেনন, বুঝতে হবে তিনি বাইরে হাঁটতে গিয়ে অন্যের মনোযোগও আকর্ষণ করতে চান। ক্রেতাগণ এ মাস্ক নিয়ে নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’
আল আরাবিয়া বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে বাইরে মাস্ক পরিধান করা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইভেল যে মাস্কটি তৈরি করছে তার ওজন হবে ২৭০ গ্রাম। সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনায় যা ১০০ গুণ ভারী। তাই এই দামি মাস্ক কতক্ষণ পড়ে থাকা যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
প্রশ্ন থাকলেও মাস্ক নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে লেভি তার ফ্যাক্টরিতে মাস্কটির তৈরিকৃত বেশ কিছু অংশের ফুটেজ দেখান। এসময় তিনি বলেন, মাস্কের বেশ কিছু অংশ তৈরি হয়ে গেছে। কর্মচারীরা সেসব অংশে এখন হীরা সংযোজন করছেন। টাকা হয়তো সবকিছু কিনতে পারে না। কিন্তু দামী একটি মাস্ক কিনতে পারে। যিনি কিনবেন তিনি এটি পড়ে তার আশপাশের এলাকাগুলোতে ঘুরবেন। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এটি করেই হয়তো তিনি সুখী হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।