মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নির্বাচনে বিশাল জয় পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মাহিন্দ রাজাপাকসে। রোববার দেশটির একটি ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দিরে তার এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় তার দল শ্রীলঙ্কা পিউপিলস পার্টি (এসএলপিপি)
শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দ রাজাপাকসে। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাহিন্দ। শুক্রবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন। বিজয়ী দল শ্রীলঙ্কা পিপল’স ফ্রন্টকে (এসএলপিপি) সরকার গঠনের জন্য আহ্বানও জানানোর পর মাহিন্দ রাজাপাকসে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার সুযোগ পেলেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার মূল শাসনক্ষমতা রাজাপাকসে পরিবারের হাতেই থেকে গেলো।
গত নভেম্বর মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মাহিন্দ। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার ছিল না। দেশের প্রেসিডেন্ট তথা মাহিন্দর ভাই গোটাবায়া সংবিধান মুলতুবি করে তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে এক সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। তবে এবারের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে তাদের দুই ভাইয়ের দল শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট। দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তারা। দেশটির সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য এই ‘নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ প্রয়োজন ছিল। আর এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক সংকট কাটলো বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজপাকসে ভাইদের দল পার্লামেন্টের মোট ২২৫টি আসনের মধ্যে ১২৫টিতে জয় পেয়েছে। আরও পাঁচটিতে জয় পেয়েছে তাদের মিত্র দলগুলো। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পান গোটাবায়া রাজাপাকসে। এরপর গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন।
দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে রাজাপাকসে পরিবার। এর আগে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দ। এবারের নির্বাচনে মাহিন্দর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে। তবে নির্বাচনে একেবারে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনি। ১০৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১টি আসনে জয় পেয়েছে বিক্রমাসিংহের দল। সাবেক প্রেসিডেন্ট রণসিংহে প্রেমদাসার ছেলে এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার দলই পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।