মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রক্তক্ষরণ যেন ঘটছে বৃটেনে চাকরির বাজারে। করোনায় পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার বৃটিশের চাকরি হারানোর ঝুঁকি। অব্যাহতভাবে ঘোষণা করছে বিভিন্ন কোম্পানি লে-অফ। সর্বশেষ ডব্লিউএইচ স্মিথ ঘোষণা দিয়েছে, কমপক্ষে ১৫০০ কর্মী ছাঁটাই করবে তারা। এদের বেশির ভাগই ট্রেন স্টেশনের কর্মী। ছাঁটাইয়ের কারণ, সেখানে কমিউটার এবং অবকাশযাপনের সংখ্যা উভয়ই গেছে কমে। বুধবার রাতে খবর প্রকাশ হয় যে, ইংল্যান্ডে এবং স্কটল্যান্ডে এলজিএইচ যেসব হোটেল ব্যবস্থাপনা করে তার প্রায় ১৫০০ স্টাফ চাকরি পারেন হারাতে। এ সংস্থাটি ক্রাউন প্লাজা, হলিডে ইন এবং হলমার্কের মতো হোটেল করে ব্যবস্থাপনা। করোনা ভাইরাসের হুমকি বিশ্লেষনে দেখা গেছে, শতাধিক বৃটিশ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেশের ভিতরে এবং বাইরে চাকরি হারাতে পারেন দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ। এ খবর অনলাইন ডেইলি মেইলের। পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমএন্ডকো তাদের ৪৭টি স্টোর করে দেবে বন্ধ। এতে চাকরি হারাবেন ৩৮০ জন। খদ্দেরের অভাবে ‘বুকমেকার উইলিয়াম হিল’ দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে। সেখানে ১১৯ জন মানুষ কাজের সংশয়ে রয়েছে। এ ছাড়া পিৎজা এক্সপ্রেস, কারিস পিসি ওয়ার্ল্ড, হেজ ট্রাভেল এবং ডিডব্লিউ স্পোর্টস ঘোষণা দিয়েছে কর্মী ছাঁটাই করবে ৪৪৭০ জন তারাও। কর্মসংস্থান হারানোর ফলে সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে এত বিপুল পরিমাণ মানুষের। এরই মধ্যে বৃটেনে এক তৃতীয়াংশের সামান্য বেশি মানুষ ফিরেছেন কাজে। বাকিরা কাজ করছেন বাসায় বসে। ফ্রান্সে অফিস করছেন শতকরা ৮৩ ভাগ এবং জার্মানিতে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ । এ তথ্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত মর্গান স্ট্যানলের গবেষকদের। তবে বৃটিশরা অন্যদের চেয়ে সপ্তাহে বেশি সময় কাজ করছেন। বৃটেনে প্রায় অর্ধেক (৪৬ভাগ) কর্মজীবী সপ্তাহে অফিস করছেন কমপক্ষে ৫ দিন। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি বা ফ্রান্সের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনীতিকে রক্ষা করতে সবার সহায়তা কামনা করে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন কর্মীদের। দু’সপ্তাহ পরেও হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী বাসায় বসে কাজ করছেন। সেকারনে হোয়াইটহলে মিনিস্টারিয়াল ডিপার্টমেন্ট যেন এক ‘ঘোস্ট টাউন’। ডেইলি মেইলের এক অডিটে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে শতকরা ২ ভাগ স্টাফ কাজে ফিরছেন। ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন, ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনশন্স-এ প্রতিদিন হাতেগোনা কয়েক ডজন মানুষকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। অথচ এক সময় ৩৫০০ স্টাফের আনাগোনা থাকতো এসব অফিসে।
সূত্র: ব্রিট বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।