পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম থেকে পালানোর পথ খুঁজছিলেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। দ্ইু দিন চট্টগ্রামে অবস্থান করে এ বিষয়ে অনেকের সাথে পরামর্শ করেন তিনি। অনেকের সাহায্যও চান। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গতকাল দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। সেখান থেকে তাকে কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার পাঠানো হয়। তবে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী একটি হত্যাকাÐের গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তার কর্মস্থল থেকে চট্টগ্রামের বাড়িতে আসা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার তাকে গ্রেফতার না করে হেফাজতে নেয়া নিয়েও চলছে নানামুখী আলোচনা। তবে সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব রহমান বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দামপাড়ায় পুলিশ লাইনে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তবে তাকে সিএমপির হাতে আটক বা গ্রেফতার বলা যাবে না। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরও তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, তিনি যাতে পালাতে না পারেন সে জন্য তাকে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ মঙ্গলবার অসুস্থতার অজুহাতে টেকনাফ থানা থেকে রেব হয়ে যান। পরদিন মেজর সিনহার বড় বোন কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোনা জারি করেন।
ওই রাতেই তাকে থানা থেকে ক্লোজ করা হয়। জানা গেছে কক্সবাজার থেকে এসে প্রদীপ সরাসরি পুলিশ হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তিনি নগরীর লালখান বাজারের বাসাসহ বিভিন্ন জনের বাসায় যান। অনেকের সাথে কথা বলেন, পরামর্শ চান। তবে সবাই তাকে আশ্রয় দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। এতে অনেকটা হতাশ হয়েই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ‘ক্রসফায়ারের’ জন্য আলোচিত এবং দাপুটে এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা যায়, বিএনপি সরকারের সময়ে এক মন্ত্রীর মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে যোগ দেন প্রদীপ কুমার দাশ। সিএমপির ওসি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও দখলবাজির ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। এরপর সিএমপি থেকে তিনি কক্সবাজার বদলী হয়ে যান। তার ভাই সদীপ কুমার দাশ সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি হিসাবে কর্মরত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।