মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বাতিল করা হয়েছিল ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। অঞ্চলটিকে দুইভাগে ভাগ করে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার বিজেপি।
বিবিসি জানায়, কঠোর নিরাপত্তা আরোপ ও ইন্টারনেট কড়াকড়ির মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে কাশ্মীরি জনগণকে। এরমধ্যে ফের কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার বর্ষপূর্তিতে কারফিউ জারিতে ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা।
এরপর দীর্ঘদিন লকডাউন করে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ যেমন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তেমনি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন সবকিছুই। এরপর অনেক কিছু খুলতে শুরু করলেও সেখানে জীবন আর স্বাভাবিকতা পায়নি। গ্রেপ্তার হওয়া হাজার হাজার তরুণ এখন কারাবন্দি ভারতের বিভিন্ন জেলখানায়। এমন অনেকে আছে যাদের রাখা হয়েছে কাশ্মীর থেকে হাজার মাইল দূরের কারাগারে। গেল এক বছরে একটিবারের জন্যও তারা স্বজনদের দেখা পাননি। হাজার হাজার কাশ্মীরি অপেক্ষায় আছেন ভালোবাসার মানুষটির বাড়ি ফেরার। তাসলিমা ওয়ানী সন্তানের অপেক্ষায় থাকা তেমনই এক মা।
বিবিসি হিন্দিকে তিনি শুনিয়েছেন তার সন্তানকে তুলে নেওয়া আর এক বছর ধরে ছেলের বাড়ি ফেরার প্রহর গোনার গল্প। তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ভোররাতে তারা যখন সবাই ঘুমিয়ে, তখন নিরাপত্তারক্ষীদের কড়াঘাতে ঘুম ভাঙে তাদের। পুলিশ বাধ্য করে তাদের দরজা খুলতে। এরপর তাকে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে দুই ছেলেকে ডেকে নেয় বাইরে। উঠোনে দাঁড়িয়েই মিনিট পনেরো কথা বলে ওদের সঙ্গে। পরে আবার চলেও যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তারা আবার ফিরে আসে। এক প্রতিবেশীর বাড়ির পথ দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাসলিমার বড় ছেলে নাদিমকে ডেকে নেয় তারা। কিন্তু সেই যে ছেলেকে নিয়ে গেল এক বছরে সে আর ফেরেনি। পরে অবশ্য অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তারা জানতে পারেন ছেলে বন্দি আছে হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের জেলখানায়। তার বিরুদ্ধে ‘জিহাদি’ দলে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। তাসলিমা ওয়ানী এখন পথ চেয়ে আছেন তার ছেলের বাড়ি ফেরার। বিবিসি হিন্দির প্রতিবেদক মাজিদ জাহাঙ্গীরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাসলিমা ওয়ানীর মতো আরও অনেক মায়ের অপেক্ষার চিত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।