পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জুলাই মাসে ২৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫৬ জন নিহত হয়েছেন। সারাদেশের এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩৪১ জন। গতকাল বুধবার সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয় নিহতদের মধ্যে নারী ৬৪ জন এবং শিশু রয়েছেন ৩৫ জন। এছাড়া একই সময়ে ১৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ২১ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এর বাইরে ৪টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪ জন।
সংগঠনটি জানায়, এসব দুর্ঘটনায় ট্রাক যাত্রী ১৮ জন, বাস যাত্রী ১৪ জন, পিকআপ যাত্রী ৯ জন, কাভার্ডভ্যান যাত্রী ৪ জন, মাইক্রোবাস যাত্রী ৫ জন, প্রাইভেটকার যাত্রী ২৩ জন, অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ৩ জন, ট্রলি যাত্রী ৬ জন, লরি যাত্রী ২ জন, সিএনজি যাত্রী ২২ জন, ইজিবাইক-অটোরিকশা যাত্রী ২০ জন, নসিমন-করিমন যাত্রী ১৩ জন, ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র যাত্রী ৯ জন, রিকশা ও রিকশাভ্যান যাত্রী ১১ জন, লেগুনা যাত্রী ৭ জন, টমটম যাত্রী ১ জন, পাওয়ার ট্রলারে ২ জন ও বাইসাইকেল আরোহী ৫ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটি জানায়, নিহতদের মধ্যে শিক্ষক ৭ জন, চিকিৎসক (ঢাকা মেডিক্যাল) ১ জন, সেনা সদস্য ১ জন, পুলিশ সদস্য ৪ জন, রেলওয়ে পুলিশ ১ জন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ১ জন, স্বাস্থ্যকর্মী ২ জন, সাংবাদিক ৩ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৭ জন, ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ১ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ৬ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ১ জন, সরকারি চাকরিজীবী ৮ জন, স্থানীয় ব্যবসায়ী ২১ জন, পোশাক শ্রমিক ১৩ জন, পাটকল শ্রমিক ১ জন, চা শ্রমিক ১ জন, প্রবাসী শ্রমিক ২ জন ও শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩৯ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে খুলনা বিভাগে। এ অঞ্চলে ২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন। একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ময়মনসিংহে। এখানে ১৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেব ১৯ জন। একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারে। এখানে ২টি দুর্ঘটনায় নিহত ১ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো- ত্রুটিপ‚র্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্প গতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।