পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক দিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অবসাদ ঘিরে ধরছিল ক্রমেই। আর সেই প্রাপ্য ছুটি নিয়ে বিবাদ লাগল সহকর্মীদের সঙ্গে। মাথা ঠান্ড রাখতে পারল না মানুষটা। চালিয়ে দিল গুলি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল ২ বিএসএফ সদস্যের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
জানা গেছে, গভীর রাতে ভাতুন পঞ্চায়েত এলাকার বসতপুর গ্রামের মালদাখন্ড বিএসএফ ক্যাম্পে হয় ওই হত্যাকান্ড। বিএসএফ সূত্রে খবর, ১৪৬ নং ব্যাটেলিয়নের উত্তম সূত্রধরের সঙ্গে ঝগড়া বাধে মহেন্দ্র সিং ভাট্টির। গভীর রাতে তখন সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন জওয়ানরা, সেই সময়ই ছুটি নিয়ে বচসা বাধে দু’জনের। মুহ‚র্তের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আচমকাই নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে দেন জওয়ান উত্তম সূত্রধর। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কমাড্যান্ট মহেন্দ্র সিং ভাট্টি ও কনস্টেবল অনুজ কুমারের।
গভীর রাতের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বিএসএফ ক্যাম্পে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত জওয়ান উত্তম সূত্রধরকে। তবে, পুলিশের কাছে খবর যায় অনেক পরে। সকালে ক্যাম্পের বাইরে দুই জওয়ানের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। নজিরবিহীন ওই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই।
ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছুটি নিয়ে বচসা নাকি অন্য কোনও কারণে গুলি চালিয়ে দুই জওয়ানকে হত্যা করেছেন উত্তম, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ছুটি নিয়ে ঝগড়ার জন্যেই গুলি চালিয়েছেন উত্তম, এমনটাই মনে হচ্ছে। কিন্তু যার সঙ্গে ঝগড়া বেধেছিল উত্তমের, সেই মহেন্দ্র সিং ভাট্টিকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও অনুজ কুমারকে কেন মারল উত্তম, সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সূত্র : টাইমস অব
ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।