মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিভিন্ন সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আগেও বিতর্কিত হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এবার বিতর্কিত হলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন গুরুগ্রামের বেসরকারি মেদান্তা হাসপাতালে। অথচ, তার চিকিৎসায় সরকারী হাসপাতাল এইমসের (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স) ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বে মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
রোববার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই সবাইকে জানান অমিত শাহ। ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'কয়েকদিন ধরে আমার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। তাই আমি করোনা পরীক্ষা করাই। আমার সেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর সুস্থই আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে ভরতি হয়েছি।’ এর পরে সোমবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ট্যুইট করে লেখেন, ‘সত্যিই আশ্চর্যজনক বিষয়। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইমসে না গিয়ে পাশের রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সাধারণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে সরকারি সংস্থায় ক্ষমতাশীলদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।'
উল্লেখ্য, এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে তিনিও ভর্তি রয়েছেন ভোপালের চিরায়ু হাসপাতালে। আবার রোববার রাতেই জানা যায়, করোনা আক্রান্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাও। সেই তিনিও ভর্তি হয়েছেন বেঙ্গালুরুর বেসরকারি মণিপাল হাসপাতালে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এবার মোদির পরেই ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ ক্ষমতাবান ব্যক্তি অমিত শাহের মতো নেতাও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। এতে সরকারি হাসপাতালের উপরে সাধারণ মানুষও আর ভরসা রাখতে পারবেন না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অমিত শাহের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা। উল্লেখ্য, প্রতিদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রচুর লোক৷ তিনি নিজেও যোগদান করেন বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে। এই পরিস্থিতিতে তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে 'কন্টাক্ট ট্রেসিং’ করতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, গত কয়েক দিনে তার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে আইসোলেশনে যাওয়ার জন্য৷ এই কথা শুনে ইতিমধ্যেই হোম আইসোলেশনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বাংলার চার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ সরকার ও অর্জুন সিং। দিন দুয়েক আগেই তারা অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সরকারি সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও দ্রুত আইসোলেশনে যাচ্ছেন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।