মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার ভারতের সঙ্গে বিরোধকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করছে নেপাল। এর অংশ হিসেবে সংশোধিত মানচিত্র জাতিসংঘ ও গুহলে পাঠাচ্ছে দেশটি।
ভারতের ‘দখলে থাকা’ ভূখণ্ড নিজেদের সংশোধিত মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পর সেটি জাতিসংঘ ও গুগল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে চলেছে নেপাল।
শনিবার নেপালি সংবাদমাধ্যমের খবরে নেপালের এই পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এসেছে।
সম্প্রতি বিতর্কিত ভূখণ্ড ‘কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরাকে’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র সংসদে পাস করে কেপি শর্মা অলির সরকার।
নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল বলেন, ‘আমরা কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরাকে লিম্পিয়াধুরাকে সংযুক্ত করে সংশোধিত মানচিত্র খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে পাঠাচ্ছি।’
পাশাপাশি ইংরেজিতে একটি বইও ছাপাতে চলেছে নেপাল সরকার। তাতেও নেপালের সংশোধিত মানচিত্র থাকবে।
গত জুনে মানচিত্র সংশোধন করার প্রস্তাব নেপালের সংসদে পাস হয়। এই মানচিত্রে বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি অংশ- কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নেপালের ২৭৫ আসনবিশিষ্ট সংসদের ২৫৮টি ভোটে ওই বিল পাস হয়।
এই সময় জানায়, চলতি বছরের ৮ মে লিপুলেখ থেকে ধরচুলা পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরেই ভারতের সঙ্গে নতুন করে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ে নেপাল।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে দু-দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে- কালাপানি, লিপুলেখ এবং সুস্তা অন্যতম। অনেক দিন ধরেই এই ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত ও নেপাল।
বর্তমান বিতর্কের কেন্দ্রে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা- এই তিনটি অংশই রয়েছে নেপালের উত্তর-পশ্চিমে। এর দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত। এই ভূখণ্ডটি ভারত, নেপাল ও চীনের একটি সংযোগস্থল হওয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
বর্তমানে নেপালের নতুন এই সংশোধিত মানচিত্র নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তলানীতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে নেপাল নতুন এই উদ্যোগ নিল। দ্য প্রিন্ট, টাইমস নাও, দ্য উইক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।