Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাঁচ হাজার টাকার কারণে খুন করা হয় ওসমানীনগরের প্রবাসী আমিনাকে: খুনি আটক

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২০, ৫:৩২ পিএম

সিলেটের ওসমানীনগরে পাঁচ হাজার টাকার কারণে হত্যা করা হয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বৃদ্ধা আমিনা বেগমকে। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ওসমানীনগর থানা পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে গ্রেফতার করা হয় হত্যা মামলার আসামী আব্দুল জলিল অরপে কালু (৩৯) কে। সে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের বর্তমান গোয়ালাবাজার করনসী রোডস্থ হেলাল ভিলার ভাড়াটিয়া ও নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে। এব্যাপারে নিহতের ভাই আব্দুল কাদির বাদী হয়ে সামনীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১, তারিখ- ০১/০৮/২০২০।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারস্থ করনসী রোডে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমা বেগম আমিনার (৭০) নিজস্ব বাসা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আসামী ধরতে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে উক্ত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ায় পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী আব্দুল জলিল কালু নিহত রহিমা বেগমের পাশের বাড়ি “হেলাল ভিলা”র ভাড়াটিয়া।
আসামী আব্দুল জলিল কালু গ্রেফতারের পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে গত ২৮ জুলাই বিকেল অনুমান ৫ টার সময় প্রবাসী নিহত রহিমা বেগম আমেনার কাছে ঈদ উপলক্ষ্যে ৫ হাজার টাকা ধার চায়। রহিমা বেগম আব্দুল জলিল কালু কে ধার না দিয়ে গালিগালাজ করেন। এতে হত্যা মামলার আসামী আব্দুল জলিল কালু উক্ত মহিলার প্রতি চরমভাবে ক্ষীপ্ত হয়ে হত্যা করবে মর্মে স্থীর করে এবং বাড়ীর এক পাশে লুকিয়ে থাকে। টাকা ধার চাওয়ার অনুমান ৫ মিনিট পর প্রবাসী মৃত রহিমা বেগম আমেনার অঘোচরে আসামী আব্দুল জলিল কালু ভিকটিমের বসত ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করার পর তথায় উৎপেতে থাকা আসামী আব্দুল জলিল কালু প্রথমে বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিটিমের মাথায় ২/৩ টিআঘাত করে। আঘাতের ফলে রহিমা বেগম অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর ভিকটিম নড়াচড়া করায় আসামী আব্দুল জলিল কালু পুনরায় বসত ঘরে থাকা একটি বটি দা দিয়ে ভিকটিম মোছাঃ রহিমা বেগম আমেনার গলা কেটে হত্যা করে। এরপর লাশ বাথরুমের রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। অতঃপর ভিকটিমের বসত ঘরের মেইন কেচি গেইট ঘরে থাকা ৩ টি তালা দিয়ে বন্ধ করে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। আসামীর স্বীকারোক্তিতে আসামীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ আলামতগুলো জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ওসমানীনগর থানার মামলা নং-২৯, তাং-২৮/০৫/২০০৭খ্রি, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড এর এজাহারে অভিযুক্ত আসামীও। আসামী কালু এলাকায় ও এলাকার বাহিরে খুনসহ চুরি-ডাকাতির সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে গোয়ালাবাজারস্থ করনসী রোডে আমিনার নিজস্ব বাসা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমিনা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার স্ত্রী। তিনি গোয়ালাবাজারস্থ নিজস্ব বাসায় একা থাকেন। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে এসে বাসাটি তালবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তারা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে দেখতে পান আমিনা বেগমের গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ